• ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালে প্রগতি লেখক সংঘের সম্মেলনে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী সম্পর্কে সজাগ থাকার আহবান

report71
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ
বরিশালে প্রগতি লেখক সংঘের সম্মেলনে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী সম্পর্কে সজাগ থাকার আহবান

বরিশালের প্রগতিশীল মানুষদের মিলনমেলায় ‘প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী’ সম্পর্কে আরও সজাগ থাকার আহবান জানানো হয়েছে। গতকাল ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার প্রগতি লেখক সংঘ, বরিশালের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে এ আহবান জানান হয়। শহরের রায় রোডস্থ খেয়ালী গ্রুপ থিয়েটার মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের ১ম পর্বে বরিশালের প্রগতিশীল মানুষদের পদচারনায় সম্মেলন এক অর্থে মিলনমেলায় পরিনত হয়। কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য এবং বরিশাল জেলা সম্পাদক কবি অপূর্ব গৌতমের স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের শুভ সূচনা হয়। কবি তপংকর চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য কবি সুভাষ চন্দ, কবি হেনরী স্বপন, কবি আসমা চৌধুরী, গবেষক দেবাশীষ চক্রবর্তী, সংগঠক মোয়াজ্জেম হোসেন মানিক, অধ্যক্ষ বিমল চক্রবর্তী, সংস্কৃতিজন মুকুল দাস, রাজনীতিবিদ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম, ছড়াকার এ্যাড. সুভাষ দাস নিতাই, সাংবাদিক স্বপন খন্দকার, কবি শিল্পী বর্মন মিলু, রাজনীতিবিদ দেওয়ান আবদুর রশিদ নিলু, সংস্কৃতিজন শুভংকর চক্রবর্তী, মিন্টু কুমার কর, বাসুদেব ঘোষ, মোঃ মিজানুর রহমান, গোপাল কৃষ্ণ গুহ রিপন, কমল সেন গুপ্ত, কবি সৈয়দ মেহেদী হাসান, অধ্যাপক সুশান্ত মল্লিক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ বক্তৃতা করেন। এছাড়াও বিশিষ্ট ছড়াকার তপংকর চক্রবর্তী, কবি পার্থ সারথি, সাংবাদিক বিধান সরকার, লেখক হাছিনা বেগম, সংগঠক বাহাউদ্দিন গোলাপ, কবি সব্যসাচী সেনগুপ্ত, কবি আব্দুর রহমান, কবি সামস সজল, ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর আলম জামাল, সম্পা দাস উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কৌশল পরিবর্তন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকার ফলে তারা প্রকাশ্য কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে আসতে পারছে না। তাই কৌশল পরিবর্তন করে প্রগতিশীল মানুষের সাথে মিশে যাচ্ছে। তাদেরকে সম্মুখে রেখে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। মূলত: তারা তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আজকাল কিছু কিছু প্রগতিশীল মানুষও লোভাতুর হয়ে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করে থাকে। কবি-ছড়াকার-লেখক-সাহিত্যিক সমাজের অন্য দশজনের থেকে একটু আলাদা কারণ তাদের রয়েছে সৃজনশীল চিন্তা, দূরদর্শিতা, সচেতনতাবোধ সর্বোপরি কুসংস্কার থেকে নিজেকে বের করে আনার এক অনন্য শক্তি। এই মানুষগুলোর মধ্য থেকে যখন কেউ কেউ লোভ-লালসায় আকৃষ্ট হয়ে প্রতিক্রিয়াশীলদের ফাঁদে পা দেয় তখন এক বুক কষ্টে দম বন্ধ হবার উপক্রম হয়।

বক্তারা বলেন, প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী সবসময়ই টার্গেট নিয়ে কাজ করে। আমরা যেন তাদের টার্গেটের শিকার না হই। আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। অতিথি হওয়া বা পদক প্রাপ্তি যেন আমাদের পেয়ে না বসে। আমাদের সরলতাকে কেউ যেন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে প্রগতির পথে। আমাদেরকে আরও আরও দায়িত্ব নিয়ে প্রগতির এই ধারাকে সচল রাখতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং মানব কল্যাণে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে একটু সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখতে হবে।

সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে আগামী ২ বছরের জন্য কবি সালেহ্ মাহমুদ শেলীকে সভাপতি এবং কবি শোভন কর্মকার কৃষ্ণকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।