বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের সঙ্গে নারী অফিস সহকারীর আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনায় গঠিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা রোববারই রিপোর্ট জমা দিয়েছি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের অফিসে আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি।’
প্রতিবেদনে কী আছে জানতে চাইলে যুগ্মসচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে জানানোর এখতিয়ার আমার নেই। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। ওখান থেকেই আপনাদের জানতে হবে।’
গত আগস্টের শেষ দিকে জামালপুরের ডিসির আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারীকর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। ওই ঘটনায় জামালপুরসহ সারাদেশের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ২৫ আগস্ট আহমেদ কবীরকে ওএসডি করে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ওই দিনই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একজন প্রতিনিধি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন শৃঙ্খলা অধিশাখার উপসচিব সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রথমে কমিটিকে ১০ কর্মদিবস সময় দেয়া হয়েছিল, এ সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ না হওয়ায় কমিটি সময় আরও ১০ দিন বাড়িয়ে নেয়।