রাস্তায় উৎপাত, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে গ্রেফতার হলেন সালমান খানের সাবেক এক দেহরক্ষী।
বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই উন্মত্তের মতো রাস্তায় বেরিয়ে তাণ্ডব চালাতে থাকেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল কর্মীরা এসে তাকে দড়ি, মাছধরা জাল দিয়ে বেঁধে নিয়ে যান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিও।
বছর দুয়েক আগে সালমানের প্রধান দেহরক্ষী শেরুর অধীনে কাজ করতেন আনাজ কুরেশি। এখন মহারাষ্ট্রের এক মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন তিনি। দিন দশেক আগে তিনি মহারাষ্ট্র থেকে উত্তরপ্রদেশে মোরাদাবাদে ফেরেন। মোরাদাবাদের মুঘলপুরা থানার পীর গাইব এলাকায় তার বাড়ি।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’দিন আগে কুরেশি ‘মিস্টার মোরাদাবাদ’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। কিন্তু প্রথম হতে পারেননি, দ্বিতীয় হন। তা নিয়ে আনাজ কুরেশির মন খারাপ ছিল। কুরেশি বেশি মাত্রায় স্টেরয়েড নিয়ে ফেলেন। সেই অবস্থায় বুধবার বিকালে তিনি ব্যায়াম করতে জিমে যান। সেখান থেকে ফিরে রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু অতিরিক্ত স্টেরয়েডের প্রভাবে সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর শুরু করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কুরেশির গায়ে কোনও জামা ছিল না। সেই অবস্থায় রাস্তায় লোকজনকে তাড়া করছিলেন। এমনকি তাদের দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়ছিলেন বলেও অভিযোগ। পরে কুরেশি হাতে একটি লোহার রড পেয়ে যান। তা দিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির কাচ ভাঙতে শুরু করেন।
কুরেশির উৎপাত শুরুর পরই খবর যায় থানায়। পুলিশ ও দমকলকর্মীরা পৌঁছান ঘটনাস্থলে। তারা কুরেশিকে দড়ি, মাছধরার নীল রঙের একটি জাল দিয়ে আটক করার চেষ্টা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও আপলোড হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একবার পুলিশ কুরেশিকে আটক করার চেষ্টা করছে, তখন কুরেশিও শান্তভাবে যেন সহযোগিতা করছেন। আবার পর মুহূর্তে উত্তেজিত হয়ে সব কিছু ঠেলে বেরনোর চেষ্টা করছেন। পুলিশ জানিয়েছে, এর আগে ২০১৭ সালে একটি ধর্ষণের মামলায় নাম জড়ায় কুরেশির।