• ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশাল বিএম কলেজে অর্নাস ভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

report71
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৮:১২ পূর্বাহ্ণ
বরিশাল বিএম কলেজে অর্নাস ভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে সম্মান ১ম বর্ষে ভর্তি ফি’তে নেয়া টাকার মধ্যে ৬৩০ টাকার কোন হদিস পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ২৩০ টাকা করে নিয়ে রশিদ দিচ্ছেন ১ হাজার ৬০০ টাকা গ্রহণের। অবশিষ্ট ৬৩০ টাকা কোন খাতে যাচ্ছে তার কোন কোন সদুত্তর নেই কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের কাছে তিনটি খাত যথাক্রমে সেমিনার ফি, শিক্ষা সফর এবং ইনকোর্স ফি’র কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই ৩ খাতে ৬৮০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এ টাকা গ্রহণের জন্য পৃথক রশিদের সংকট থাকায় তারা শিক্ষার্থীদের দিতে পারছেন না। কলেজ কর্তৃপক্ষের এ বক্তব্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের অভিযোগ, শিক্ষকরা ভর্তি বাণিজ্য হিসাবে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৬৩০ টাকা করে নিচ্ছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তি কার্যক্রম গত ২৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় গতকাল শনিবার।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত প্রথম মেধা তালিকায় বিএম কলেজে ৫২০০ জনের মধ্যে ৩ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রকাশিত ভর্তি নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি ৩ হাজার ২০৫ টাকা জমা দিতে হবে শিওর ক্যাশের মাধ্যমে। এছাড়া বিভাগীয় ফি (সেমিনার-শিক্ষা সফর ও ইনকোর্স ফি) বাবদ শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিভাগে ২ হাজার ২৩০ টাকা জমা দিতে হবে নগদ।
একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তারা ২ হাজার ২৩০ টাকা জমা দিলে তাদেরকে ১ হাজার ৬০০ টাকা উল্লেখ করে রশিদ দেয়া হয়েছে। এনিয়ে চাঁপা ক্ষোভের সৃস্টি হলেও ভবিষ্যতে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যেমূলক হয়রানির আশংকায় শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নুসরত জাহান বলেন, ১৬০০ টাকার রশিদ দেয়া হলে অপর দুটি খাতের রশিদ সংকট থাকায় শিক্ষার্থীদের দেয়া হচ্ছেনা। বিষয়টি আপাতত প্রশ্নবিদ্ধ হলেও পরবর্তীতে সকল শিক্ষার্থীদের রশিদ দেয়া হবে বলে এ শিক্ষক দাবী করেন।
ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ইতিহাস বিভাগের প্রধান আবু সাদেক মোহাম্মদ শাহ আলম প্রথমে দাবী করেন ১ হাজার ৬০০ টাকার রশিদ ছাড়াও আরও দুটি পৃথক রশিদের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ২৩০ টাকার হিসাব শিক্ষার্র্র্থীদের দেয়া হচ্ছে। তার এ বক্তব্য সঠিক নয় বলা হলে এক পর্যায়ে তিনি বলেন, তার বিভাগে সবগুলো রশিদ দেয়া হচ্ছে। অন্য বিভাগে কেন রশিদ দিচ্ছেনা তা তিনি খোঁজখবর নিয়ে জানবেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, আহ্বায়কের বক্তব্য সঠিক নয়। ইতিহাস বিভাগেও তাদের ১৬০০ টাকার রশিদ দেয়া হচ্ছে। ##