ক্যাসিনো ব্যবসার পর নতুন করে বাংলাদেশে আলোচনায় অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসা। বাংলাদেশে এই ব্যবসার মূলহোতা সেলিম প্রধানকে আটকের পর বেরিয়ে এসেছে নানা তথ্য। তা কিভাবে পরিচালিত হতো এই অনলাইন ক্যাসিনো?
মঙ্গলবার বিকেলে সেলিম প্রধানের বাসা ও অফিসে অভিযান শেষে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার নাগরিক মি. দো এর সঙ্গে ৫০-৫০ পার্টনারশিপে পি-২৪ ও টি-২১ নামে দু’টি অনলাইন ক্যাসিনো পরিচালনা করতেন সেলিম প্রধান। যা তার মালিকানাধীন প্রধান গ্রুপের ওয়েবসাইটেও স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে।
অনলাইনে ক্যাসিনো খেলতে প্রথমে মোবাইলে যেকোনো একটি গেমিং সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হয়। এরপর সেসব সফটওয়্যারে প্রবেশ করলে নানা ধরণের গেমস বেরিয়ে আসে এবং সেখানে পুরোপুরি বাংলায় নির্দেশনা থাকে। তবে ওই গেমসে প্রবেশ করতে গ্রাহককে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যকাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন হয়। নির্ধারিত গেমসের জন্য নির্ধারিত টাকা থাকতে হতো অ্যাকাউন্টে।
খেলা শুরুর পর নির্ধারিত ওই টাকা তিনটি অনলাইন ‘গেটওয়ে’তে জমা হতো। গ্রাহক খেলায় জিতলে টাকা অ্যাকাউন্টে ফেরত যেতো, অন্যথায় গেটওয়েতে থেকে যেতো। এরপর প্রতি সপ্তাহে সেলিম প্রধানের সহকারী আক্তারুজ্জামান সেসব গেটওয়ে থেকে টাকাগুলো তিনটি অ্যাকাউন্টে জমা করতেন। এরপর সেসব টাকা হুন্ডি অথবা ব্যক্তির মাধ্যমে লন্ডনসহ বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে যেতো।