২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

৬৫ দিনের মধ্যে ৪৯ দিন অনুপস্থিত স্কুলছাত্র, জানেন না বাবা-মা!

আপডেট: অক্টোবর ২, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্র। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে বিদ্যালয়ে ৬৫ কর্মদিবসের মধ্যে উপস্থিত ছিল মাত্র ১৬ দিন, অনুপস্থিত ছিল ৪৯ দিন।

সোমবার হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিনের বরাবরে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের দায়ের করা অভিযোগপত্রে এমন ঘটনার কথা জানা গেছে।

প্রধান শিক্ষক অভিযোগপত্রে বলেন, ওই ছাত্র গত জুলাই থেকে সেপ্টম্বর এ তিন মাসে বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিল মাত্র ১৬ দিন। অথচ এ তিন মাসে ৬৫ দিন কর্মদিবস ছিল। এর মধ্যে ৪৯ দিন অনুপস্থিত।

বিদ্যালয়ে অনিয়মিত হওয়ার কারণে গত আগস্ট মাসে হাজিরা থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। তাই অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউএনওর প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানান।

ইউএনও বিষয়টি আমলে নিয়ে ওই ছাত্রে বাবা-মাকে তার কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নিদের্শ দেন।

এরমধ্যে ইউএনও ওই ছাত্রকে সুকৌশলে তার অফিসে ডেকে নিয়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণ জানেন। তার বাব-মায়ের অজান্তে ছাত্রটির ব্যবহ্নত মোবাইল ফোনটি জব্দ করে রাখেন।

এ দিকে আদেশ পেয়ে বুধবার ওই ছাত্রের বাব-মা ইউএনওর কার্যালয়ে হাজির হন। এ সময় ওই ছাত্রের বাবা-মাকে তাদের ছেলের বিদ্যালয়ে ৬৫ দিনের মধ্যে ৪৯ দিন অনুপস্থিতির বিষয়টি অবহিত করলে তারা অস্বীকার করেন।

তবে তাদের ছেলের প্রতিদিনকার উপস্থিতি তথা হাজিরা খাতা দেখানোর পর তারা বোকা বনে যান। ওই সময় ইউএনও ওই ছাত্রের বাবা-মায়ের কাছে জানতে চান, তারা তাদের ছেলেকে কোনো মোবাইল দিয়েছে কিনা?

এ সময় তারা অস্বীকার করে বলেন, ছেলেকে কোনো মোবাইল দেয়া হয়নি। পরে ইউএনও যখন জব্দ করা তাদের ছেলের ব্যবহৃত মোবাইল বের করে দেখান তখন তারা হতভম্ব ও লজ্জিত হন।

এ ঘটনার পরপর ইউএনও রুহুল আমিন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ছাত্রের মা-বাবাকে ডেকে যখন জিজ্ঞেস করেন আপনাদের সন্তান নিয়মিত স্কুলে আসে না। এই কথার উত্তরে বাবা-মা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, অসম্ভব। পরে ঘটনার সত্যতা দেখায়।

তিনি প্রত্যেক মা-বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার সন্তানের একটু খোঁজ রাখুন, খোঁজ নিন সে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে কিনা, নাকি কোনো বড় ভাইদের সঙ্গে ঘুরছে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network