শামীম আহমেদ ॥ বরিশাল মেট্রো নগরের নিদিষ্ট এলাকায় চলাচলের জন্য ব্যাটারীচালিত রিক্সা চলাচল ও আটককৃত মোটর, ব্যাটারী চালকদের ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাষ দেয়ার পরিপেক্ষিতে একটানা পঁয়ত্রিশ ঘন্টা পর অনশন প্রত্যাহার করে নিয়েছে ব্যাটারীচালিত রিক্সা শ্রমীক-মালিক সংগ্রাম কমিটি ও বরিশাল মহানগর রিক্সা-ভ্যানচালক-শ্রমীক ইউনিয়ন।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া সাতটায় পানি পান করার মাধ্যমে অনশনের ইতি টানের সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী ও আন্দোলন ও অনশনরত কমীরা।
এসময় অনশনরত রিক্সা শ্রমীকরা নগরের কোন কোন রুটে রিক্সা চালাতে পারবে তার দিক নির্দ্দেশনামূলক বক্তব্য দেন উন্নয়ন সংস্থা বিএনডিএন এর উপদেষ্টা আনোয়ার জাহিদ, সচেতন নাগরীক কমিটি সভাপতি অধ্যাপিক শাহ সাজেদা, বরিশাল মহিলা পরিষদ সভাপতি রাবেয়া খাতুন, সাধারন সম্পাদিকা পূস্প রানি চক্রবর্তী,বরিশাল জেলা গণ ফোরাম সভাপতি এ্যাড, হিরন কুমার দাশ মিঠু, নগরের বিশিষ্ট আইনজীবী তপন চক্রবর্তী, বাসদ বরিশাল জেলা আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ারইমরান হাবীব রুমন,সংগ্রাম কমিটি উপদেষ্টা ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী প্রমুখ।
এর বিকাল সাড়ে চারটায় অনশনরত রিক্সা শ্রমীকদের সাথে আলোচনা শেষে শ্রমীকদের অনুমতি নিয়ে নাগরীক সমাজের সূধিবৃন্দ বরিশাল মেট্রোপলিটন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি ট্রাফিক) খায়রুল আলমের কার্যলয়ে এক সৌজন্য মতবিনিময় ও আলোচনা করেন।
আলোচনার এক প্রর্যায়ে ডিসি ট্রাফিক খায়রুল আলমের বেধে দেওয়া সড়কে আউন মেনে রিক্সা চলাচলের জন্য নাগরীক প্রতিনিধিদের আশ্বস্থ করেন।
পরে সেখান থেকে ফিরে এসে প্রতিনিধিদল শ্রমকিদের নিয়ম কানুন বুঝিয়ে বলার পর অনশনরত শ্রমীকরা তা মেনে নেন।
উল্লেখ্য বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া নির্বিচারে ব্যাটারীচালিত রিক্সা উচ্ছেদ বন্ধ করা সহ অবিলম্ভে জব্দ কর্তৃক ২ কোটি টাকার মূল্যের ব্যাটারী ও মটর ফেরত পাওয়ার দাবী জানিয়ে বুধবার সকাল থেকে অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।