বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় শেরেবাংলা হলের সিসিটিভি ক্যামেরার নতুন একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ভিডিও ফুটেজটি ১৫ মিনিট দুই সেকেন্ডের। একে আবরার হত্যাকাণ্ডের পুরো ভিডিও ফুটেজ বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে ৭ অক্টোবরের সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে কোটা সংস্কার চাই (বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ) এর পেজ থেকে ভিডিও ফুটেজটি ফেসবুকে পোস্ট হয়।
প্রকাশ হওয়া সেই এক মিনিট ২২ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রাত কয়েকজন শিক্ষার্থী আবরারকে ধরাধরি করে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই শিক্ষার্থীদের পেছন পেছন কয়েকজনকে হেঁটে যেতে দেখা যাচ্ছে।
আর এ ফুটেজ প্রকাশের পর প্রভোস্টের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখেন বুয়েটের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
সিসিটিভির সম্পূর্ণ ভিডিও প্রকাশ নিয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে ডাকসু ভিপি বলেন, বুয়েট প্রশাসন যদি সিসিটিভির ফুটেজ নিয়ে যদি কোনো ধরনের নাটক করে তাহলে সেই প্রশানকে বুয়েট ছাড়তে হবে। হত্যাকারীকে প্রশ্রয়ের জন্য কোনো আলামত লুকানোর চেষ্টা করলে তা আমরা হতে দেব না।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে প্রকাশিত হলো ১৫ মিনিটের বেশি সময়ের আরও একটি ভিডিও ফুটেজ। ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে পোস্টের পর মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
ভাইরাল সেই ভিডিওটিতে দেখা যায়, রাত ৮ টা ১২ মিনিটে আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের কর্মীরা তার রুম থেকে ডেকে দোতলায় নিয়ে যায়। এরপর রাত ১ টা ১৪ মিনিটে দোতলার ২০১১ নম্বর কক্ষ থেকে কয়েকজন তাকে বের করে ২০০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়।
এর এক ঘণ্টা পর রাত ২ টার দিকে তাকে ২০০৫ নম্বর কক্ষ থেকে তোষকের মধ্যে নিয়ে নিচতলায় নামানো হয়। সিঁড়িতে তাকে কিছুক্ষণ ফেলে রেখে পরবর্তীতে একটি স্ট্রেচারে তোলা হয়। এরপর চিকিৎসক আসেন।
কিছুক্ষণ পর হলের প্রভোস্ট ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালক আসেন। তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেলকে কথা বলতে দেখা যায়।
এই ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের আগে সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে এই ভিডিওটি তারা সংগ্রহ করেছিলেন।