২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

বরিশালে দেড় কোটি টাকার বিদ্যালয়-সাইক্লোন শেল্টারটি নদীতে বিলীন (ভিডিওসহ)

আপডেট: অক্টোবর ৯, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আশোয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাইক্লোন শেল্টারটি সন্ধ্যা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবে বিদ্যালয়টিতে পূজার বন্ধ থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

সন্ধ্যা নদী ভাঙতে ভাঙতে সোমবার গভীর রাতে ভবনটির খুব কাছে চলে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় ও সাইক্লোন শেল্টারটি সন্ধ্যা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, তিন মাস আগে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম পরিদর্শনকালে ওই ভবনটি ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। দুই মাস আগে ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাঙনরোধে অস্থায়ী প্রকল্পের মাধ্যমে ৪ হাজার ৩০০ বস্তা বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত রক্ষা করা যায়নি ভবনটি।

সিডরের পরে ভাঙনকবলিত আশোয়ার গ্রামের মানুষের আশ্রয়ের জন্য ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাইক্লোন শেল্টার ভবনটি নির্মাণ করা হয়।

নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর ধরে সন্ধ্যা নদীর করাল গ্রাসে হানুয়া ও আশোয়ার গ্রামের প্রায় ২০০ পরিবারের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দুই বছর ধরে অব্যাহত ভাঙনের কবলে পড়ে বিদ্যালয়টি। কয়েকদিন ধরে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যায়লটি রক্ষার জন্য মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিল। তবে তাদের অভিযোগ ভাঙন প্রতিরোধে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ কারণে রক্ষা করা যায়নি বিদ্যালয়টি।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোসলেম আলী হাওলাদার বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে আমাদের চোখের সামনে বিদ্যালয়টি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বিদ্যালয়ের ভেতরের মালামাল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার মানুষ আংশিক উদ্ধার করতে পেরেছে। বাকি মালামালসহ ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

উপেজেলা শিক্ষা অফিসার তাসলিমা বেগম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। শিক্ষার্থীদের ক্লাসের জন্য অন্য স্থানে জমি দেখা হচ্ছে। আশাকরি দ্রুত তাদের ক্লাস শুরু করা যাবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network