• ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালে মদ খেয়ে মিথুন-রতন ও বিকাশের মৃত্যু

report71
প্রকাশিত অক্টোবর ১০, ২০১৯, ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ
বরিশালে মদ খেয়ে মিথুন-রতন ও বিকাশের মৃত্যু

বরিশালে অতিরিক্ত মদ্য পানে ৩ যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে এদের মধ্যে সিদ্বার্থ রায় মিথুন নামে ৩২ বছরের যুবকের হাসপাতালের দেয়া মৃত্যু সনদে মদপানের কথা লেখা থাকলেও বাকী ২ জনের সনদে মদপানের বিষয়টি উল্লেখ না থাকায় ময়নাতদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। মৃত সিদ্বার্থ রায় মিথুন বরিশাল নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাটখোলা রোড এলাকার বাসিন্দা জ্যেতি প্রকাশ রায়ের ছেলে। এছাড়া অপর দু’জন হলো নগরীর গণপাড়া এলাকার পরিমল চন্দ্র দাসের ছেলে রতন চন্দ্র দাস (২৬) ও নগরীর দপ্তরখানা এলাকার নরেন্দ্রনাথ কর্মকারের ছেলে বিকাশ কর্মকার (৩৫)। বরিশাল কোতেয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম-পিপিএম জানান, এখন পর্যন্ত খোজ নিয়ে যতদূর জানাগেছে মৃত তিনজনই অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য সেবন করে অসুস্থ হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। তবে এদের মধ্যে সিদ্বার্থ রায়ের মৃত্যু সনদে সরাসরি অ্যালকোহল সেবনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে এবং বাকী ২ জনের মৃত্যু সনদে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির সময় স্বজনরা তথ্য গোপন করার কারনে এমনটা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তবে বৃহষ্পতিবার দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে যান। তবে স্বজনরা মৃত্যুর পরপরই তিনজনের মরদেহ নিয়ে গেছে। তিনি জানান, আপতত তিনটি মরদেহই ময়নাতদন্ত করার সিদ্ধন্ত নেয়া হয়েছে। এজন্য স্বজনদের সাথে পুলিশের পক্ষ থেকে কথা বলা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, সিদ্বার্থ রায় ও বিকাশ কর্মকার বন্ধু হলেও রতন চন্দ্র দাসের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক ছিলো কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এজন্য এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। এদিকে স্বজন সূত্রে জানাগেছে, বিকাশ ও সিদ্বার্থ দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর রাতে একই সাথে মদ্যপান করেন, তবে রতনের বিষয়ে কিছুই বলতে রাজি হননি অভিভাবকরা। এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, সিদ্বার্থ রায় ১০ অক্টোবর সকাল পৌনে ৬ টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মদপানে অসুস্থ হওয়ার কথা বলে হাসপাতালের মেডিসিন-৩ ইউনিটে ভর্তি হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১ টার তার মৃত্যু হয়।অপরদিকে বিকাশ কর্মকার সকাল ১১ টায় একই হাসপাতালের মেডিসিন-২ ওয়ার্ডে ভর্তি হলে বেলা ১২ টার তার মৃত্যু হয়। তবে সে হাসপাতালে কার্ডিওজেনিক শক এর কথা বলে ভর্তি হয়েছেন।এর আগে ৯ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে একই হাসপাতালের মেডিসিন-৩ ওয়ার্ডে রতন চন্দ্র দাস হাসপাতালে ভর্তি হন এবং বুধবার দিবাগত রাতেই তার মৃত্যু হয়। সে বমি হচ্ছে এমন তথ্য দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম হাওলাদার জানান, সিদ্ধার্থ ও বিকাশ অতিরিক্ত মদ্যপান করার কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।