নেইমারের মাইলস্টোন ম্যাচ জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে পারল না ব্রাজিল। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে সেনেগালের কাছে আটকে গেল সেলেকাওরা। ম্যাচের শুরুতেই গোল করে এগিয়ে গেলেও ব্যবধান ধরে রাখতে পারেনি ব্রাজিল।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরায় সেনেগাল। দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলই প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হওয়ায় ম্যাচের চূড়ান্ত স্কোরলাইন থেকে যায় ১-১৷ ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন রবের্তো ফির্মিনো। সেনেগালের হয়ে সমতা সূচক গোল করেন ফামারা দিয়েধিউ।
ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় ডান প্রান্ত দিয়ে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের বাড়ানো বল সেনেগালের জালে ঠেলে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন ফির্মিনো। ব্রাজিলের জার্সিতে এটি তার ক্যারিয়ারের ১৩ তম গোল।
ফ্রেন্ডলি হলেও নেইমারের কাছে ম্যাচটি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছিল অন্য কারণে। দেশের হয়ে নেইমারের এটি শততম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সেই নিরিখে শততম ম্যাচে গোল করার জন্য মরিয়া ছিলেন নেইমার নিজে। তবে শেষমেশ তা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে ম্যাচের প্রথমার্ধে নেইমারকে তেমন একটা প্রভাবশালীও দেখায়নি।
ব্রাজিলের ক্রমাগত আক্রমণের মাঝেও সেনেগাল একবার প্রতিআক্রমণ থেকে গোল করার উপক্রম করেছিল। সাদিও মানের জোরালো শট সে যাত্রায় এডারসন প্রতিহত না করলে ম্যাচের ফলাফল অন্য রকম হতেই পারত। যদিও সেই মানেকে আটকাতে গিয়েই প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে সেনেগালকে পেনাল্টি উপহার দিয়ে বসে ব্রাজিল। ৪৬ মিনিটে ব্রিস্টল সিটির স্ট্রাইকার ফামারা স্পট কিক থেকে গোল করে ব্রাজিলের জয়ের সম্ভাবনায় জল ঢেলে দেন।