১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

শিরোনাম
রংপুরে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী তাহির হত্যা মামলায় শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৭৫ জনের নামে মামলা শেখ হাসিনা দুর্নীতি করে দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নামে দূর্নীতির অভিযোগ উঠায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে-গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের শ্রদ্ধা গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল-আ.লীগ নেতৃবৃন্দ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে তিন সচিবের শ্রদ্ধা আশুলিয়ায় নারী পোশাক শ্রমিককে শ্বাসরোধ করে হত্যা, গ্রেপ্তার ১ । হু হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি নদীপাড়ে আতঙ্ক বিরাজ সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সাভানা পার্ক পরিদর্শনে দুদক প্রতিনিধি দল, সাংবাদিকদের বাঁধা পার্ক কর্তৃপক্ষের

পরকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে টুকরো টুকরো করলেন স্ত্রী

আপডেট: অক্টোবর ১২, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

পরকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করেছেন স্ত্রী। শুধু তাই নয়, হত্যার পর তার মরদেহের টুকরো রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেন। ৯ বছর আগে এমন রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। দীর্ঘ তদন্তের পর অবশেষে পরকীয়া প্রেমিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পুলিশের লেগে গেছে ৯ বছর। ২০১১ সালের এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখা জানতে পায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও তার পরকীয় প্রেমিক এতে জড়িত। গাড়িচালক প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে হত্যা করেন স্ত্রী।

নিহত ব্যক্তির স্ত্রী শকুন্তলার সঙ্গে ওই গাড়িচালক কামালের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। দিল্লি পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেমিক কামালের সঙ্গে পরামর্শ করে স্বামী রবিকে হত্যার নকশা করেছিলেন শকুন্তলা। তারা সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী রবিকে হত্যার পর তার মরদেহ কয়েক টুকরো করে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেন।

২০১২ সালে এই পলিগ্রাফ টেস্টে এই হত্যা মামলায় নতুন আলামত পায় পুলিশ। পাঁচ বছর পর পুলিশ নিহত রবির স্ত্রীর ব্রেইন ম্যাপিং পরীক্ষা করে। এই পরীক্ষায় রবিকে হত্যায় স্ত্রী শকুন্তলার সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত কামালের সঙ্গে শকুন্তলার সম্পর্ক ছিল। ২০১১ সালে রবীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পরও কামালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন শকুন্তলা। বিয়ের এক মাসের মাথায় স্বামী রবিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। এ কাজে তাকে সহায়তা করে প্রেমিক কামাল।

পরিকল্পনা অনুযায়ী শকুন্তলা স্বামীকে নিয়ে বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে প্রেমিক কামালকে ডাকেন তিনি। পরে সেখান থেকে একটি ট্যাক্সি ক্যাব ভাড়া করে, এই ট্যাক্সির চালকও তাদের পরিকল্পনার ব্যাপারে জানতেন। রাস্তায় চলার সময়ই গাড়ির ভেতরে হত্যা করা হয় রবিকে। একাজে সহায়তা করায় ট্যাক্সির চালককে ৭০ হাজার রূপি দেন অভিযুক্তরা।

২০১১ সালে নিহত রবির বাবা পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে দিল্লি পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখার কাছে এই হত্যা মামলা হস্তান্তর করা হয়। প্রধান অভিযুক্ত শকুন্তলা ও তার প্রেমিক কামালের ব্রেইন ম্যাপিং টেস্ট করার পর এই মামলার প্রকৃতি একেবারে পাল্টে যায়। ব্রেইন ম্যাপিং টেস্ট করার পর এ দুই অভিযুক্ত পালিয়ে যান। পরে আলওয়ার থেকে কামালকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে কামাল জানান, রবিকে হত্যার পর তারা মরদেহ টুকরো টুকরো করেন। পরে একটি নির্মাণ স্থাপনার পাশে কিছু অংশ পুঁতে ফেলেন ও কিছু অংশ আলওয়ার থেকে রিওয়ারির রাস্তায় ফেলে দেন।

তবে রবিকে পুঁতে রাখার স্থান থেকে অন্তত ২৫ টুকরো হার উদ্ধার করে পুলিশ। শকুন্তলা বর্তমানে গর্ভবতী; তবে পলাতক রয়েছেন।

সূত্র : এনডিটিভি।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network