• ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অমিতের মা-বাবা তীর্থে, জানেন না খবর

report71
প্রকাশিত অক্টোবর ১৪, ২০১৯, ১৬:২৬ অপরাহ্ণ
অমিতের মা-বাবা তীর্থে, জানেন না খবর

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার অমিত সাহা শৈশব থেকেই মেধাবী ছিলেন। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা করেছেন। এলাকার মানুষ খুব শান্ত ও ভদ্র হিসেবেই জানেন। অমিতের বাবা একজন ধানের আড়তদার। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ব্যবসা করেন।

বর্তামানে থাকেন নেত্রকোনা শহরের আখড়া মোড় এলাকায় নিজস্ব বাসায়। অমিত জেলা শহরের আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও নেত্রকোনা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা সদরের ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের ঠাকুরাকোনা বাজারের স্বাস্থ্য ক্লিনিকের পাশে।

অমিতের মা দেবী রানী সাহা ও বাবা রঞ্জিত সাহা গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভারতের তীর্থে যান। এখনও তারা সেখানেই অবস্থান করছেন। অমিতের ছোট বোন ঐশ্বরিয়া সাহাও মেধাবী। তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন।

ঠাকুরাকোনা বাজারের ব্যবসায়ী মো. কামাল মিয়া জানান, অমিতের বাবা খুব ভালো ব্যবসায়ী। ছেলেমেয়েদের খুব কষ্ট করে মানুষ করছেন। এমন একটা খবরে খুব খারাপ লাগছে। তার বাবা-মায়ের কষ্ট বৃথা যাচ্ছে। এলাকাবাসী হিসেবে মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তার মা-বাবা এখন ভারতের তীর্থে আছেন।

ঠাকুরাকোনা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক জানান, অমিতের বাবা রঞ্জিত সাহা একজন ধানের আড়তদার। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ধানের ব্যবসা করেন। তার এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। ছেলেটা খুব মেধাবী।

অমিতের বাবার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঘরানার পরিবার। ছেলে অমিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা শুনেছি।

এদিকে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অমিত সাহাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। প্রাথমিকভাবে আবরার হত্যাকাণ্ডে অমিত সাহার সম্পৃক্তার প্রমাণ পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

ফাহাদ খুন হওয়া ২০১১ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা। ঘটনায় জড়িত থাকা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু অমিত সাহা ও জড়িত ছিলেন বলে জানান।

তবে ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি ও মামলার কোনো জায়গায়ই অমিত সাহার নাম ছিল না। এ নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়।