আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০১৯
বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি অনিক সরকার কারাগারে কয়েদি ও হাজতিদের তোপের মুখে পড়ে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তবে কারাগারে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম।
ভারতকে গ্যাস, পানি ও সমুদ্রবন্দর দেয়ার বিরোধিতা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে ৬ অক্টোবর আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি হলেন অনিক সরকার। সেদিন মদ্যপ অবস্থায় একাধিকবার আবরারকে পিটিয়েছিলেন তিনি।
কারাসূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, মিডিয়ায় আবরার হত্যাকাণ্ড ফলাও করে প্রচার হওয়ায় এর খুঁটিনাটি জানতে পারেন কারাবন্দিরাও।
আবরারের মতো মেধাবী ছাত্রের এমন নির্মম মৃত্যু অন্য সব সাধারণ মানুষের মতো মেনে নিতে পারেননি কয়েদি ও হাজতিরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এ আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে অনিক সরকারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
পরে সন্ধ্যার দিকে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয় অনিক সরকারকে। আনুষ্ঠনিকতা শেষে প্রধান ফটক দিয়ে কারাগারে প্রবেশ করেন তিনি।
এ সময় ক্ষুব্ধ বন্দিদের তোপের মুখে পড়েন অনিক। আবরার হত্যার আসামি অনিককে তারা মারধরও করেন। পরে কারারক্ষীরা তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেন।
উল্লেখ্য, কারাসূত্রের বরাতে খবর প্রকাশ করা হলেও তাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তির বক্তব্য ছিল না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
তিনি বলেন, যে সময়ে অনিককে মারধর করা হয়েছে বলে খবরে বলা হচ্ছে, ওই সময় কয়েদিরা মূলত লক্ড (বন্দি) থাকেন। তাই এ ধরনের ঘটনা ঘটার কোনো সম্ভাবনা নেই।’