দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩২ রানে অলক কাপালীর দলকে থামিয়ে ইনিংস ও ১৩ রানে জিতেছে বরিশাল। তখনও চতুর্থ ও শেষ দিনের চা-বিরতির বেশ বাকি।
দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে রোববার ২ উইকেটে ২৭ রান নিয়ে ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই শুরু করে সিলেট। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে দলের হয়ে প্রতিরোধ গড়েছেন কেবল জাকের আলী। তরুণ এই কিপার-ব্যাটসম্যান ১১৪ বলে অপরাজিত ছিলেন ৪৫ রানে।
প্রথম ইনিংসের সেরা দুই বোলার রাব্বি ও নুরুজ্জামানকে ঠিকঠাক সামাল দিয়েছিল বরিশাল। কিন্তু সামলাতে পারেনি দুই বাঁহাতি স্পিনারকে। নাইটওয়াচম্যান এনামুল হক জুনিয়রকে এলবিডব্লিউ করে শিকার শুরু করেন তানভীর।
এক প্রান্ত আগলে রাখা ইমতিয়াজ হোসেনকেও বিদায় করেন তানভীর। পরে রানের খাতা খুলতে দেননি শাহানুর রহমান ও রেজাউর রহমানকে।
অধিনায়ক অলক কাপালীকে ফিরিয়ে শিকার শুরু করেন মনির। পরে ইমরান আলী ও রুহেল মিয়াকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দলকে এনে দেন দারুণ জয়।
সিলেট শেষ ৫ উইকেট হারায় মাত্র ১১ রানে। শেষ চার ব্যাটসম্যান রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বরিশালের সেরা বোলার তানভীর। মনির ২১ রানে নেন ৩ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৬ উইকেট নিয়ে সিলেটকে ৮৬ রানের গুটিয়ে দেওয়া রাব্বি জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট ১ম ইনিংস: ৮৬
বরিশাল ১ম ইনিংস: ২৩১/৮ ইনিংস ঘোষণা (শাহরিয়ার ৬৩, রাফসান ৩৩, মাহমুদ ৭০, আশরাফুল ৬, মোসাদ্দেক ৫, নুরুজ্জামান ১, শামসুল ১১*, মনির ২, রাব্বি ১৯, তানভীর ০*; ইমরান ১১-০-৪২-১, রুহেল ১৬-০-৭৩-১, রেজাউর ১৭-৩-৭৪-৩, শাহানুর ৩-২-৯-০, কাপালী ৭-৩-১৫-২, এনামুল জুনিয়র ৪.৩-০-১২-১)
সিলেট ২য় ইনিংস: (আগের দিন ২৭/২) ৬৩.৫ ওভারে ১৩২ (ইমতিয়াজ ৩৫, এনামুল জুনিয়র ১১, জাকির ১১, কাপালী ১৬, জাকের ৪৫*, শাহানুর ০, রেজাউর ০, ইমরান ০, রুহেল ০; রাব্বি ১৮-৪-৩৫-০, নুরুজ্জামান ১২-২-৩২-২, তৌহিদুল ৮-২-১৩-১, তানভীর ১৩-৩-২৯-৪, মনির ১২.৫-৫-২১-৩)
ফল: বরিশাল ইনিংস ও ১৩ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: কামরুল ইসলাম রাব্বি