শ্বাস–প্রশ্বাসের হার বাড়াতে যা যা প্রয়োজন, সেদিকে গুরুত্ব দিলে বাড়বে ফুসফুসের কার্যকারিতা। এতে কমবে ওজন।
ফিটনেস বিশেষজ্ঞ সুকোমল সেনের মতে, কাজের চাপ, সময়ের অভাবের মত বিভিন্ন কারণেই আমরা প্রতিদিন খুব নিয়ম করে জিমে যেতে পারি না বা ডায়েট মানতে পারি না।
অধিকাংশ মানুষই এই অনিয়মের শিকার কাজের রুটিনের জন্য। তবু ওজন কমানোর দিককে অবহেলা করলে চলবে না। তাই মন দিতে হবে এক্সারসাইজের দিকে।
বিজ্ঞানীদের মতে, চর্বিকে শরীর থেকে বার করতে ফুসফুস একাই একশো৷ শরীরের শতকরা ৮০ ভাগ চর্বিকে ভেঙে জলে পরিণত করে হাওয়ায় মিলিয়ে দেয়ার দায়ভার সে বহন করে একাই৷
ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে শিশুকে সাঁতারে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে ছোট থেকেই।
শরীরে চর্বি জমা ঠেকাতে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার তথা ভাত–রুটি–চিড়ে–মুড়ি খাওয়া কমাতে হবে৷ ঘি–মাখন ও তেল খেতে হবে যথাসম্ভব কম৷ ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুডে আছে ক্ষতিকর ট্রান্স ফ্যাট৷ তাতে কেবল যে ওজন বাড়ে এমন নয়, বাড়ে বিভিন্ন অসুখের প্রবণতাও৷ তার বদলে ঘরে বানানো খাবার ও শাক–সব্জি–ফলে আস্থা রাখতে হবে।
দিনে কম করে আধ ঘণ্টা জোরে হাঁটা, জগিং, সাইক্লিং বা সাঁতার এর মধ্যে যেকোনো একটা কে বেছে নিতে হবে। প্রথম অবস্থায় সামান্য পরিমাণে শুরু করুন যেন শরীর অল্প পরিমানে হাঁপিয়ে যায়। এরপর সপ্তাহের শেষে কিছুটা করে গতি বাড়িয়ে দিতে হবে৷
ধূমপানে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে৷ তাই ধুমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।দূষণমুক্ত পরিবেশে থাকতে পারলে শরীরের জন্য ভাল।
ফুসফুসের কোনও রোগ থাকলে চিকিৎসা করে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।