২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই শিক্ষার মান নেমে যাওয়ায় উদ্বেগ শিক্ষার মান উন্নয়ন না হলে শুধু বদলী নয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে-মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন পাঠ করলো ৭’শ শিক্ষার্থী

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ছড়ালো ধর্ষক!

আপডেট: অক্টোবর ১৫, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত পহেলা আগস্ট সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নে বিশুতারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত সজল মিয়া (২৫) ওই গ্রামের আওয়াল মিয়ার ছেলে। তিনি সম্পর্কে ওই স্কুলছাত্রীর চাচা হন।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় গত ৯ আগস্ট ওই ছাত্রীর দায়ের করা মামলার মূল আসামি সজলকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এর ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া ওই ছাত্রীর দিন কাটছে চরম উৎকণ্ঠায়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বখাটে সজলের উত্যক্তের কারণে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। গত ১ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে বখাটে সজল তার সহযোগী একই গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে সামছুল হককে (২৪) নিয়ে বিশুতারা গ্রামে ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে যান। ঘরে ঢুকেই সজল ওই ছাত্রীকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এই সময় সামছুল তার মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে। এক পর্যায়ে সজল ও সামছুলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর ধস্তাধস্তির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সামছুল পালিয়ে যায়। তবে ওই ছাত্রী ও তার মা বখাটে সজলকে আটক করে। এই ঘটনার খবর পেয়ে সজলের বাবা আওয়াল মিয়া ও মা রেজিয়া বেগম ঘটনাস্থলে এসে ওই ছাত্রীর সঙ্গে সজলের বিয়ে দেয়ার কথা বলে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে বিয়ের ব্যবস্থা না করে ‘এক সময় ছেলেরা এমন কাজ করেই থাকে, এটা কোনো বিষয় না’ বলে জানিয়ে দেয় তারা। এরপর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয় বলে মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা। আসামি সজল এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় চরম উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তারা।

সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ওই ছেলেকে আটক করার পর বিয়ের আশ্বাস পেয়ে তাকে না ছেড়ে যদি আমাদের কাছে সোপর্দ করত তাহলে এই সমস্যাটা হতো না। আমরা চেষ্টা করছি তাকে গ্রেফতার করার জন্য।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য সরাইল থানা ওসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network