গাজীপুরের শ্রীপুরে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে গণধর্ষণের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তারা হলেন শ্রীপুর পৌর এলাকার বহেরারচালা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন, একই গ্রামের হিরন মাঝির ছেলে নাজমুল মাঝি, বিল্লাল মাঝির ছেলে কায়েশ মাঝি ও মামুন নামের এক যুবক।
গত ১২ অক্টোবর শ্রীপুর থানায় এ মামলা করা হয়। আসামিরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং এলাকায় প্রভাবশালী। মামলার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিনই ধর্ষিতার বাড়ির বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং এলাকা থেকে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূ।
তিনি অভিযোগ করেন, মামলার পর আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও তাদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ।
তিনি জানান, গত ৪ অক্টোবর বাড়ির পাশে একটি পানির পাম্প চালু করতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে মারধর করলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে জ্ঞান ফেরার পর ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে বুঝতে পারেন। ওইদিনই থানায় অভিযোগ করতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে দ্বিতীয় দফায় গত ১০ অক্টোবর ফের অভিযোগ দিতে সক্ষম হন। অভিযোগটি ১২ অক্টোবর থানায় মামলা হিসেবে গ্রহণ হয়।
তিনি আরও জানান, থানায় অভিযোগ করার কারণে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিন দুপুরে তার বাড়ির পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন জানান, ধর্ষণের অভিযোগের পর এক গৃহবধূর বাড়ির বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা খুবই অমানবিক। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করবেন।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক আকতার হোসেন জানান, মামলার পর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। বাদীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে মামলার পর নির্যাতিতার বাড়ির বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার কথা কেউ পুলিশকে জানায়নি। এমন হয়ে থাকলে মানবিক কারণে পুনঃসংযোগের ব্যবস্থা করা হবে।