ভিসির পর চুক্তি শেষ হওয়ায় বিদায় নেন দায়িত্বে থাকা ট্রেজারার একে এম মাহাবুব হাসান। এর আগে নানা অনিয়মের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মুরশীদ আবেদিনকে দাপ্তরিক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
শুধু অনিয়মই নয় কর্মকর্তাদের হুমকি দেয়ারও অভিযোগ আছে মুরশীদ আবেদিনের বিরুদ্ধে। সত্যতা যাচাইয়ে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুরশীদ আবেদিন বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাকে দাপ্তরিক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তর বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুরশীদ আবেদিন যে কথা বলেছেন তা নিয়ম বর্হিভূত পর্যায়ে পড়ে। এসব নিয়ে কথা বলার কারণে তার শোকজ হওয়া প্রয়োজন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তদন্ত কমিটির প্রধান সুজন চন্দ্র পাল বলেন, শিগগিরই তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পাদনের পর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এর ফলে নতুন করে প্রকাশ্যে চলে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায় নেয়া উপাচার্য-ট্রেজারার ও তাদের অনুসারীদের পুরনো কোন্দল।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস মাহমুদ বলেন, অভিভাবক না থাকার কারণে অনিয়ম-দুর্নীতি বাড়ছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এটি একটি কালো অধ্যায়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. ইউনুস জানান, উপাচার্য নিয়োগ হলে সব সমস্যারই সমাধান হবে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি পদই শূন্য রয়েছে। রেজিস্ট্রার থাকলেও চিকিৎসার জন্য বর্তমানে বিদেশে আছেন তিনি।