শামীম আহমেদ ॥ উপজেলা প্রশাসন ও থানার ওসিকে না জানিয়ে নদী থেকে জেলেদের আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে চালান দেয়ার ভয় দেখিয়ে দশ জন জেলের কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার ঘটনায় জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানার দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যাহারকৃতরা হলেন মেহেন্দিগঞ্জ থানার এএসআই মোঃ দেলোয়ার ও পুলিশ কনস্টবল মোঃ সুমন।
শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, মৎস্য কর্মকর্তাকে সঙ্গে না নিয়ে ও ওসিকে না জানিয়ে এএসআই মোঃ দেলোয়ার ও কনস্টবল মোঃ সুমন অভিযান চালিয়ে কয়েকজন জেলেকে আটক করেন। এরপর তাদের ছেড়ে দেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ ছাড়া তারা এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করতে পারেন না। এ কারণে শনিবার সকালে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, উৎকোচ নিয়ে জেলেদের ছেড়ে দেয়া হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তে উৎকোচ প্রহণের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য শুক্রবার ভোরে মেহেন্দিগঞ্জ থানার এএসআই দেলোয়ারের নেতৃত্বে উপজেলার চরএকরিয়ার লালখারাবাদ নদীতে মাছ ধরার অভিযোগে জাল ও ইলিশ মাছসহ দশ জন জেলেকে আটক করে। পরে আটককৃতদের ৬৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়ে জাল এবং মাছ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে এএসআই দেলোয়ারের বিরুদ্ধে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে এএসআই দেলোয়ারসহ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি পুলিশ কর্মকর্তাদের নজরে আসলে দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। তবে প্রত্যাহারকৃত দুই পুলিশ সদস্য ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন। এঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত হলে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হবেন বলেও জানান।