বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড রাসেদ খান মেনন (এমপি) বলেছেন, আমি ও প্রধানমন্ত্রী সহ যারা নির্বাচিত হয়েছি আমাদেরকে দেশের কোন জনগন ভোট দেয় নাই কারন ভোটাররা কেহ ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে নাই। আজ দেশের ভোটাধিকার হরন করেছে সরকার।
সরকার দেশব্যপি উন্নয়নের রোল মডেল করেছে দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে উন্নয়নের নামে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে।
উন্নংনের নামে আজ দেশের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতনা কেড়ে নিয়েছে সরকার তাই কেহ মুখ খুলে মত প্রকাশ করতে পারে না।
মেনন আরো বলেন বিগত সরকারের প্রধান খালেদা জিয়া ও ও তার হাওয়া ভবনে বসে র্দর্নীতি লুঠপাট করার কারনে কেহ সাজা ভোগ করছে অন্যরা পালিয়ে গেছে।
এখন সরকারে থেকে যারা দূর্নীতি লুঠপাট সহ বিদেশে অর্থ পাচার করছে তাদের বিচার করবেকে। কে নেবে তাদের অর্থের হিসাব।
তিনি আরো বলেন শেখ হাসিনা দূর্নীতিবাজ লুঠেরাদের আড়াল করে যতই শুদ্ধি অভিযান চালান তাতেই কিছুই হবে না। আমাকে ১৪ দলের পক্ষ থেকে নৌকা প্রতিক দিয়েছে তাদের প্রয়োজনে আমার মন্ত্রিতের জন্য কোন ক্ষোভ নাই ওয়াকার্স পার্টি সব সময়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছে এবং সব সময় বলে যাবে।
শনিবার অশ্বিনী কুমার টাউন হলে আয়োজিত বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির বরিশাল জেলা কমিটির সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথাগুলো বলেন।
বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি াধ্যাপক নজরুল হক নিলুর সভাপতিত্বে জেলা সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরো সদস্য কমরেড আনিছুর রহমান মল্লিক।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারন সম্পাদক সাবেক এমপি এ্যাড, শেখ মোহাম্মদ টিপু সুলতান,কমরেড শান্তি দাশ,কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ বাড়ৈ, কমরেড টি.এম শাহজাহান হাওলাদার, কমরেড আঃ মন্নান,ফায়জুল হক বালী ফারহিন,সিমা রানি শীল ও শাহিন হোসেন।
প্রধান অতিথি রাসেদ খান মেনন আরো বলেন বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে গনতন্ত্রের কথা বলে ক্ষমতায় গিয়ে তারাই আজ এদেশের গণতন্ত্রকে গলা কেটে হত্যা করেছে।
একারনেই সারা দেশের রাজনীতির অবক্ষয় হয়েছে। যার কারনে দূর্নীতির আসল স্থান নিবৃত্ত রয়েছে। মেনন আরো বলেন দেশের ৪ কোটি মানুষ এখনো দারীদ্রসিমায় বাস করছে।
এসব কৃষক-ক্ষেত-মজুর ও শ্রমজীবি মানুষের জন্য দেশে পেনশন স্ত্রিম চালু করার দাবী জানান।
এর পূর্বে সকাল ১১ টায় টাউন হল চত্বরে জাতীয় সংগিত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাসেদ খান মেনন এমপি ও স্থানী দলীয় নেতৃবৃন্দ।
পরে জেলা সভাপতি ও জেলা সাধারন সম্পাদক সহ দলীয় নেতা কর্মীরা লাল পতাকা নিয়ে নগরীতে র্যালি বেড় করে র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় টাউন হল চত্বরে এসে শেষ করেন।