রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের প্রতিবাদ করায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদিক নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
রোববার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাদিক। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের মাসুম শিকদার। উভয়ের বাসা টাঙ্গাইল জেলায় এবং ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আরিফ তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন সাদিক। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে গেলে আরিফ আলাদা হয়ে পড়েন। সেই সময়েই মাসুম শিকদারের সঙ্গে দেখা হয় তার।
প্রথমে তার পরিচয় জানতে চান। টাঙ্গাইল পরিচয় দেয়ার পর তাকে নানাভাবে প্রশ্ন শুরু করেন মাসুম শিকদার। পরে হলের গেস্টরুমে নিয়ে টাঙ্গাইলের এক ছাত্রলীগ নেতাকে চেনে কিনা এটা জানতে চান।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আরিফ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে চিনেন না বলে জানালে তুই-তোকারি করে আলাপ শুরু করেন মাসুম। এর মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সাদিক।
সাদিকের ভাষ্য, আরিফকে র্যাগ দেয়া হচ্ছে কিনা মাসুমের কাছে এমনটি জানতে চেয়েছিলেন তিনি এবং ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে র্যাগ দেয়া উচিত নয় এমন বলতেই তাকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন।
হাতে চাবির রিং দিয়ে আঘাতের একপর্যায়ে চোখের কোণ ফেটে যায় সাদিকের। রক্তাক্ত করা হয় তাকে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মাসুমের শাস্তির দাবি করেন তিনি।
ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই আহত সাদিককে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে আসেন সহপাঠীরা। সেখানে দুটি সেলাই দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুম শিকদার বলেন, সাদিক আমার খুব কাছের বন্ধু। আমরা মজা করি সবসময়। ওর সঙ্গে কিলঘুষি এমন নিত্যদিন চলে। তবে আজকে একটু বেশি চরমে চলে গেছে। ওর চোখের কোণ কেটে যায়। পরে আমরা বিষয়টি মীমাংসা করে নিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।