• ৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠি : সালিশে উত্ত্যক্তকারীদের পক্ষ নেয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ

report71
প্রকাশিত অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ০৩:১২ পূর্বাহ্ণ
ঝালকাঠি : সালিশে উত্ত্যক্তকারীদের পক্ষ নেয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ

সালিশ বৈঠকে ছাত্রী উত্ত্যক্তকারীদের পক্ষ নেয়ায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মফিজুর রহমান শাহীনকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়া গ্রামের ভুট্টা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার বিকেলে চরকয়া গ্রামে তার বাংলো বাড়িতে অবস্থানকালে এলাকাবাসী ফের আরেক দফা তোপের মুখে পড়েন ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন।

জানা গেছে, উপজেলার কয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করা নিয়ে সালিশ বৈঠকে ভাইস চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান ওই এলাকার কবির রাঢ়ি নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করে এবং উত্ত্যক্তকারীদের পক্ষ নেয়। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ভাইস চেয়ারম্যান মফিজকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দপদপিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান মৃধা ওরফে চুন্নু মেম্বারের কয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির পড়ুয়া মেয়েকে ভাইস চেয়ারম্যান মফিজের ভাগ্নে কয়া এলাকার মুনসুর আলির ছেলে মো. রিফাত প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। গত ২১ অক্টোবর বিদ্যালয় চলাকালীন সময় ওই ছাত্রীকে রিফাত ও তার সহযোগীরা উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনায় চুন্নু মেম্বর ওই বিদ্যালয়ের ব্যস্থাপনা কমিটির কাছে বিচার চায়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কয়া গ্রামের ভুট্টো বাজারে এ নিয়ে সালিশ বৈঠক শুরু হয়। এসময় কয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন উত্ত্যক্তকারী তার ভাগ্নে রিফাতের পক্ষ অবলম্বন করে। এর প্রতিবাদ করায় ওই এলাকার কবির রাঢ়িকে মারধর করে ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন। ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনকে অবরুদ্ধ করে রাখে। রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে বুধবার সকালে চুন্নু মেম্বার তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার দায়ে ওই এলাকার রিফাত, অপি মল্লিক, তুষার তালুকদার ও হাসান মিয়ার নাম উল্লেখ করে নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরা সবাই একাদশ শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আবদুল মান্নান মৃধা ওরফে চুন্নু মেম্বার বলেন, আমার মেয়েকে উত্ত্যক্তকারীদের বিচার না করে ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন তাদের পক্ষ নেয়। ওই বখাটেদের উৎপাতে আমার মেয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না।

তবে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মফিজুর রহমান শাহীন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, চুন্নু মেম্বার বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে না থাকতে পারায় তার মেয়েকে দিয়ে এলাকার ছেলেদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। তারপরেও যদি ঘটনা সত্য হয় তবে আমি এর বিচার করবো। তিনি আরও বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে নলছিটি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল হালিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রী উত্ত্যক্ত করার ঘটানা নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। ছাত্রীর বাবার করা সাধারণ ডায়েরি তদন্ত করে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।