বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান।
আইজি প্রিজন বলেন, দেশের কারাগারগুলোকে সংশোধনাগার করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ‘রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে বন্দিদের নিরাপদ আটক নিশ্চিত করা হবে। আর বন্দিরা ভিডিও কলের মাধ্যমে স্বজনের দেখা ও কথা বলার সুযোগ পাবেন।
‘সেই সঙ্গে বন্দিদের সঙ্গে করা হবে মানবিক আচরণ। তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে কঠোর নিরাপত্তার। থাকবে শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যবস্থা। এ জন্য তৈরি হচ্ছে যথাযোগ্য বাসস্থান। সেখানে সুখাদ্য, চিকিৎসা, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হবে।’
তিনি আরও জানান, কারা অধিদফতরের ব্যবস্থাপনায় ৫৯টি কারাগারে মাদকাসক্ত নিরাময় ইউনিট চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি কারাগারে ওই ইউনিট স্থাপনের মাধ্যমে মাদকাসক্ত বন্দিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সব বন্দিকে সুনাগরিক হিসেবে সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মোটিভেশন ও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে জানান আইজি প্রিজন।
এ সময় কমিটির সদস্য ও সাবেক পুলিশের আইজি নূর মোহাম্মদ জানতে চান, কারাগারে এমন কোনো সাফল্য আছে কিনা- যা দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হতে পারে? জবাবে মহাপরিচালক জঙ্গি ও মাদকের বিষয়ে কারাগারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তার সফলতা তুলে ধরেন।
সংসদীয় কমিটি এ সময় কারাগারে চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং কারা অধিদফতর ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের শূন্য জনবল দ্রুত পূরণ সুপারিশ করে। এ ছাড়া কারাগারে ডাক্তার নিয়োগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দেয়া হয়।