২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই শিক্ষার মান নেমে যাওয়ায় উদ্বেগ শিক্ষার মান উন্নয়ন না হলে শুধু বদলী নয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে-মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন পাঠ করলো ৭’শ শিক্ষার্থী

যুক্তি সঙ্গত কারেনই মেয়র সাদিক প্রশংসার দাবিদার

আপডেট: অক্টোবর ২৪, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

বেলায়েত বাবলু : সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।মেয়র হিসেবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নিয়েছেন এক বছর হলো। তিনি নিজেই বিভিন্ন সময় বলে থাকেন তাঁর দায়িত্বকালীন সময়ে দৃশ্যমান তেমন কোন উন্নয়ন করতে পারেননি। আর গত ২৩ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব গ্রহনের এক বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে বলেছেন গত এক বছরে তিনি নগর ভবনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নীতি নৈতিকতার উন্নয়নে কাজ করেছেন। এখন তিনি নগর উন্নয়নে কাজ শুরু করবেন। আসলে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ তাঁর মন থেকে যা আসে তাই প্রকাশ করেন। সদা সত্য কথা বলতে গিয়ে অনেকের কাছে তিনি বিরাগভাজন হলেও তিনি কোন কিছুর পরোয়া করেন না। গত বছরে বরিশালে এসে অনেক সন্মানিত ব্যক্তি মেয়রের সান্নিধ্য গ্রহন করেছেন। মেয়রের ব্যবহার, আথিতেয়তা এবং বরিশাল নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা দেখে সবাই অভিভূত হয়েছেন। মুগ্ধ হয়ে মেয়রের ভূয়সী প্রশংসা করছেন সবাই। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক সম্প্রতি বেশ কিছু কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে বরিশালে এসেছিলেন। কিন্তু মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর সাথে মতবিনিময় করতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রীর সব পরিকল্পনা যেন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আগামী বরিশাল নিয়ে মাত্র কয়েক মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপ দেখে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন আমি কিছু কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে বরিশালে এসেছিলাম। কিন্তু মেয়রের পরিকল্পনা দেখে আমি নিজেই সমৃ্দ্ধ হয়ে গেলাম। আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর পরে বরিশালে এসেছিলেন ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ। তরুন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নানান কাজের তিনি প্রশংসা করে একটি স্মার্ট সিটি গড়তে ভারতের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। মেয়র ভারতীয় হাই কমিশনারের সৌজন্যে সংবর্ধনা ও নৈশভোজের আয়োজন করেন। মেয়রের এই আথিতেয়তায় মুগ্ধতা প্রকাশ করে ঝালকাঠি সফরে গিয়ে ভারতীয় হাই কমিশনার বলেছিলেন বরিশালের মানুষ অনেক অতিথি পরায়ন। আর সবর্শেষ বরিশাল সফরে এসে সকলকে মেয়রের পাশে থাকার আহবান জানিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন সাদিক কখনো আপনাদের সাথে বেইমানী করবেনা। কারন ওর শরীরের রক্তের সাথে বঙ্গবন্ধুর রক্তের মিল রয়েছে। গত ২৩ অক্টোবর মেয়রকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বরিশালের প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। দায়িত্ব গ্রহনের এক বছর পূর্তিতে সর্বস্তরের মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। গত বুধবার সন্ধ্যায় নগর ভবনে তাকে বরিশালের জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান এবং বর্ষপূর্তির একটি কেক উপহার দেন। এছাড়া বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: শাহাবুদ্দিন, র‌্যাব-৮ এর পক্ষ থেকে র‌্যাব কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন খালেদ মাহমুদ, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ, বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, মহানগর ছাত্রলীগসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্তাব্যক্তি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে মেয়রকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। এর আগে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর দায়িত্ব গ্রহনের ১ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে নগর ভবনে বিশেষ দোয়া মোনাজাত ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ছাড়াও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন। মেয়র সকলের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে গত এক বছরে তাকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতা নিয়ে আমি এগিয়ে চলার চেষ্ঠা করছি। প্রথম এক বছরে আমি বিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নীতি নৈতিকতার উন্নয়নে কাজ করেছি। আর এখন থেকে নগর উন্নয়নে মনোনিবেশ করবো। এক বছর নয় ৫ বছর পর জনগন মূল্যায়ন করবেন আমি তাঁদের জন্য কোন কাজ করতে পেরেছি কিনা। অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সেবা দিয়ে থাকে। সার্ভিস ও সেবা এ দুটোতেই গত এক বছরে আমূল পরিবর্তন এসেছে। এখন সিটি কর্পোরেশনে সেবা নিতে আসতে কেউ ভয় পাননা। নগরবাসী তাঁদের জীবন মান উন্নয়নে মেয়রকে কাজে লাগাচ্ছেন। মেয়রকে একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে আখ্যায়িত করে জেলা প্রশাসক বলেন, মেয়রের শরীরে বঙ্গবন্ধুর রক্তের মিল আছে। আজ মেয়রের কারনে বরিশাল নগরী একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন নগরী। মেয়র নিজে রাতে শহর ঘুরে বেড়ান। তাঁর কারনে সকলের মধ্য থেকে আজ ফাঁকির প্রবনতা কমে গেছে। জেলা প্রশাসক মেয়রের আগামী দিন গুলোর জন্য শুভ কামনা জানিয়ে বলেন, আগামীতে বরিশাল নিয়ে আপনার সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হোক। অনুষ্ঠানে বরিশালের পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, মেয়র তৃনমূল থেকে তাঁর কার্যক্রম শুরু করেছেন। সর্বত্রই তাঁর বিচরন। মেয়রকে তাঁর পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে সহায়তা করতে হবে। তাঁর পরিকল্পনা গুলো আমি দেখেছি। যা আমাকে সত্যিই অভিভূত করেছে। অনুষ্ঠানে উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিন) মোয়াজ্জেম হোসেন ভুইয়া বলেন, মেয়রের হাত ধরে বরিশাল সত্যিই প্রাচ্যের ভেনিস হবে। একদিন বরিশালকে দেখতে বাইরে থেকে লোক আসবে। আসলে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, হাই কমিশনার কিংবা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা আজ মেয়রের যে প্রশংসা করছেন তার প্রকৃত দাবিদার তিনিই। কারন সরলতা, মানুষের প্রতি ভালবাসা, বড়দের প্রতি সন্মান আর ছোটদের আদর করার মানষিকতার পাশাপাশি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ যা তাঁর অন্তরে ধারন করেন তাই প্রকাশ করেন। ঘুম থেকে উঠার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত যিনি আগামীর বরিশাল গড়তে পরিকল্পনা করেন তিনিতো অবশ্যই সকলের কাছ থেকে প্রশংসিত হবেন।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network