নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই। বাংলাদেশের রহস্যময় ব্যক্তিদের মধ্যে তাকে নিয়ে আছে নানা গল্প, নানা রহস্য।
আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে নিয়ে এসব গল্পের বেশির ভাগই চলচ্চিত্র জগতের নারী ও নানা ধরনের ব্যবসা কেন্দ্রিক। এসব গল্পের কতটুকু সত্য আর কতটুকু মুখরোচক বা মিথ্যা সে নিয়েও নানা জনের নানা মত রয়েছে।
উইকিপিডিয়া অনুযায়ী, আজিজ মোহাম্মদ ভাই একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। তিনি হত্যা ও মাদক পাচারসহ বেশ কয়েকটি গুরুতর অপরাধে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ৫০টির মতো চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন তিনি।
১৯৪৭ এ দেশভাগের পর তাদের পরিবার ভারতের গুজরাট থেকে বাংলাদেশে আসে। ধণাঢ্য এই পরিবার পুরান ঢাকায় বসবাস শুরু করে।
১৯৬২ সালে আজিজ মোহম্মদ ভাইয়ের জন্ম হয় আরমানিটোলায়। আজিজ মোহাম্মদ ভাই তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ইস্পাত প্রযোজকের পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত ছিলেন। দেশে তার বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুরে রয়েছে তার হোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসা। মাদক ব্যবসার সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
১৯৯৭ সালে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ মৃত্যুর পর যে কয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে তাদের মধ্যে আজিজ মোহাম্মদ ভাই অন্যতম। এছাড়া চলচ্চিত অভিনেতা সোহেল চৌধুরী হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি আজিজ মোহাম্মদ ভাই সপরিবারে থাইল্যান্ডে থাকতেন। সেখান থেকেই ব্যবসা পরিচালনা করেন। তার স্ত্রী নওরিন ও ভাই দেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।
এদিকে, আজ (রোববার) বিকাল থেকে গুলশানে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাসায় অভিযান চালায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এ সময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও ক্যাসিনোর সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। এ সময় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অভিযানে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাসার ভেতরে ক্যাসিনো ও ছাদে মিনি বার পাওয়া গেছে। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ মদের বোতল ও সিসা পাওয়া গেছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, বাসাটি আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের নামে। তবে বাসাটির দেখাশোনা করতেন তার ভাই ও বোন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাসাটিতে অভিযান চালানো হয়েছে।