আপডেট: অক্টোবর ২৭, ২০১৯
র্যাগিয়ের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে র্যাগিং হোতাদের দ্বারা মৌখিক ও শারীরিক লাঞ্চনার শিকাড় হয়ে আত্মহননে ব্যর্থ হয়ে শেরইবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির(আইএইচটি) ফিজিওথেরাপি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আমিনা। শুক্রবার মধ্য রাতে আইএইচটির ছাত্রী হোস্টেল থেকে অন্যান্য সহপাঠিরা তাকে শেবাচিমে ভর্তি করে।ঘটনাটি প্রথমে ধামাচাপা দেয়া হলেও আজ বিকেলে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছরিয়ে পরে। এ ব্যপারে আইএইচটি কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্যর একটি দতন্ত কমিটি গঠন করেছে ।
ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক নামে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে শুক্রবার সকালে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে পোস্ট দেয় আমিনা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আইএইচটি বরিশাল ছাত্রিনিবাসের র্যাগিং হোতারা সংঘবদ্ধ হয়ে আমিনাকে অশ্রাব্য ভাষায় লাঞ্চনাসহ মারধর করে। একপর্যায়ে অপমানে ভুক্তভুগী আমিনা ওষুধ খেয়ে আত্মহননের চেষ্টা করে। এদিকে এ কর্মকান্ডে হোস্টেল সুপার নিজকে দায়মুক্ত রাখতে র্যাগিয়ের মুল হোতাদের সাথে আতাত করে উল্টো ভুক্তভুগীর বিরুদ্ধে বদনাম রটিয়ে র্যাগিংয়ের বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
এ ব্যাপারে আইএইচটির অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, মারধর করা হয় তা শুনিনি কিন্তু অপমান করা হয়েছে তা শুনেছি এরপর আমিনা অতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাকে বরিশাল শেরই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে ওয়াশ করা হয় । তিনি আরো জানান,আমরা এঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি হয়েছে এবং পাচদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রিন্সিপাল শুভংকর বাড়ৈ, সহকারি হোস্টেল সুপার নাজমা এবং আরো এক কর্মকর্তা।