শুক্রবার বরিশাল সদরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার লালমোন এলাকায় মো. ইয়াছিন খাঁ (৪০) এবং কুষ্টিয়া সদরের মনোহরদিয়ার আব্দুর রহিম (৩৩)।
শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এসপি আনিসুর রহমান এতথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি আনিসুর বলেন, ইয়াছিন নিজেকে সাবেক মন্ত্রী এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাই খন্দকার বাবর নামে সরকারি বড় কর্মকর্তার পরিচয় দেন।
এই পরিচয়ে তিনি চাকরি দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেন বলে এসপি জানান।
এসপি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গোপালপুরের আবু মুছার ছেলে মো. ইসহাককে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন সময়ে তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা নেন। এ নিয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তি নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।“ওই মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ বরিশাল থেকে ইয়াছিন ও তার সহযোগী রহিমকে গ্রেপ্তার করেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার আলাউদ্দিন চৌধুরী, বিশেষ শাখার ডিআইও-১ ইমতিয়াজ আমম্মেদ ও নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের আগে এসপি সাংবাদিকদের একটি অডিও রেকর্ড বাজিয়ে শোনান, যেখানে ইয়াছিনের কণ্ঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমানকে কিছু কথা বলতে শোনা যায়।
ওই অডিওতে তিনি নিজেকে খন্দকার বাবর নামে পরিচয় দেন।