মা ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় রাত ১২টা ১ মিনিটে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকেই ইলিশে সয়লাব হয়ে উঠে বরিশালের সর্ববৃহৎ ইলিশের মোকাম পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র।
এত স্বল্প সময়ে বিপুল পরিমাণ ইলিশ কোনো জায়গা থেকে এসেছে এই নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। মাত্র সাড়ে ৫ ঘণ্টায় ইলিশের সয়লাব নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
অনেকে বলেছেন, এত ইলিশ এই স্বল্প সময়ে মোকামে আনা অবিশ্বাস্য। সম্ভবত এই ইলিশ নিষেধাজ্ঞার সময়ই ধরা হয়েছে এবং সেগুলোই মজুদ করার পর এখন বাজারে বিক্রির জন্য আনা হয়েছে।
পোর্ট রোডে আসা অনেক ক্রেতাই জানিয়েছেন, যে ইলিশ আনা হয়েছে এগুলো বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। বাজারে যে ইলিশ রয়েছে সেগুলোর সঙ্গে নগদ ধরে আনা ইলিশের অনেক তফাৎও রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মৎস্য ব্যবসায়ী এই প্রতিবেদককে জানান, ‘যে ইলিশ বৃহস্পতিবার বাজারে আনা হয়েছে তা আগের ধরা ইলিশ। এগুলো নগদ ধরে আনা ইলিশ নয়। আপনারা ভালো করে খোঁজ নেন সব পাবেন।’
বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজনৈতিক সুপারিশ নিয়ে জেলেরা কয়েকদিন আগে থেকেই কীর্তণখোলাসহ বরিশালের বিভিন্ন নদী থেকে ইলিশ শিকার শুরু করে। সেই ইলিশগুলো সে সময় মজুদ করা হয়। আর সেই মজুদ করা ইলিশই এখন বাজারে তোলা হয়েছে।
নগরীর পলাশপুর ও বেলতলা এলাকায় বুধবার সন্ধ্যা থেকেই ইলিশ বিক্রি শুরু করে খুচরা বিক্রেতারা। তবে এ সব বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি প্রশাসনকে।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, নদীতে প্রচুর মাছ থাকার কারণে জেলেদের জালে প্রচুর মাছ উঠছে। যে কারণে অল্প সময়ের মধ্যে তারা মাছ ধরে বাজারে নিয়ে আসতে পেরেছে।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে নদী ও সাগরে ইলিশ শিকারে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে বাজারে ওঠা ইলিশের ৬ থেকে ৯শ’ গ্রামের পাইকারি দর মণপ্রতি ২৪ থেকে ২৫ হাজার টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশের মণ ৩০ হাজার টাকা, ১২০০ গ্রামের ওপরে ইলিশের মণ ৩৫-৪০ হাজার টাকা ছিল।