রংপুরের পীরগাছায় নববধূ শিউলি বেগমকে নির্যাতন পর হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়ার ঘটনায় স্বামী শাহাজাদা মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে ২১ অক্টোবর ‘বাংলাদেশ প্রতিদিনে’ যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর হাত-পায়ের রগ কাটলেন স্বামী শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে টনক নড়ে প্রশাসনের। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তাম্বুলপুর ইউপির নেকমামুদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় ওই পাষান্ড স্বামীকে। শাহাজাদা মিয়া উপজেলার ছাওলা ইউপির রতনপুর গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলার তাম্বুলপুর ইউপির ঘগোয়া (সরদারপাড়া) গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে শিউলি বেগমের সঙ্গে শাহাজাদা মিয়ার বিয়ে হয়। এ সময় শিউলি বেগমের বাবা নগদ ৮৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার মেয়ে-জামাইকে যৌতুক দেন। কিন্তু বিয়ের মেহেদির রঙ মুছতে না মুছতেই শাহাজাদা মিয়া আরো দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে স্ত্রীকে কয়েক বার নির্যাতন করেন।
গত শনিবার এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হলে শাহাজাদা মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে নববধূ শিউলি বেগমকে নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে তার হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় তারা। এরপর হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে সেলাই করে একদিন বাড়িতেই ওই নববধূকে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সোমবার বিকেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, গৃহবধূ শিউলিকে নির্যাতনের ঘটনায় দুই জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে তার বাবা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মামলার অন্যতম আসামি শিউলির স্বামী শাহাজাদা মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।