সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করায় তাহিরপুর উপজেলার মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাহিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান এ হুমকি দেন।
গতকাল বুধবার ওই ব্যক্তি লিখিত অভিযোগে বিষয়টি দুদককে জানিয়েছেন। মিজানুর রহমান এর আগে এমপির বিরুদ্ধে গত ৩ ও ১৩ অক্টোবর দুই দফা দুদকে লিখিত অভিযোগ দেন।
এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তাধীন থাকায় তার বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।
দুদকে অভিযোগকারী মিজানুর রহমান বলেন, গত ৩ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেন তখন আমিও এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুদকে একটি অভিযোগ করেছিলাম।
অভিযোগ দায়েরের ২-৩ দিন পর তাহিরপুর থানার ওসি আমার বাসায় ৩০-৪০ জন পুলিশ সদস্য পাঠান। পুলিশ সদস্যরা আমার বাসায় গিয়ে গালিগালাজ করেন। পরে আমি গত ২৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাহিরপুর থানার ওসিকে ফোন করি। বলি, ওসি সাহেব দেখেন তাহিরপুর থানা থেকে ফাজিলপুর নদীর শেষ সীমানা পর্যন্ত নদী খনন হচ্ছে। নদী খননের বালু বিদ্যালয়ে বা বসতবাড়িতে দেয়ার কথা থাকলেও এমপির নির্দেশে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে এবং এখানে চাঁদাবাজি হচ্ছে।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি এই কথা বলার পর ওসি আমাকে বলেন, চাঁদাবাজি পুলিশের আওতায় পড়ে না, আপনি বেশি কথা বললে আপনাকে ধরে নিয়ে এসে ক্রসফায়ারে দিয়ে দেবো। আমি গ্রামীণফোন কোম্পানির কাছে আবেদন করেছি রেকর্ডটা দেয়ার জন্য। পুলিশের এমন হুমকির পর আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
তাহিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমি এখানে চাকরি করতে আসছি, কাউকে হুমকি দিতে আসিনি। আমি তার বাসায় পুলিশও পাঠাইনি। তাকে কোনো হুমকিও দেইনি।’
তিরি বলেন, এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের সঙ্গে মিজানুর রহমানের পারিবারিক সমস্যা থাকতে পারে।