২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

চরফ্যাসনে পানি নিয়ে বিবাদে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে হত্যা

আপডেট: নভেম্বর ২, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ খেলা শেষে পানি পান করা নিয়ে দুই শিশুর মধ্যে ঝগড়া হয়। একজনের নাম মেহেদী হাসান ও অপরজন ইকরামুল আলম। মেহেদী তুই বললে, ইকরাম মেহেদীকে ঘুষি মারে। এক ঘুষিতেই মেহেদী মারা যায়। শুক্রবার দুপুরে ভোলার চরফ্যাসন পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আছিয়া এ. ওয়াহেদ তালিমুল কুরআন মাদরাসার মাঠের এ ঘটনা ঘটে। মেহেদীর চাচা মো. বশির হাওলাদার বাদি হয়ে দুইজনকে আসামী করে গতকাল শনিবার চরফ্যাসন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ইকরামের বাবা আ. আলী মাঝিকে আটক করেছে। ইকরাম পলাতক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, শুক্রবার বন্ধের দিন। সকাল ১০টার দিকে একদল স্কুল পড়ুয়া শিশু চরফ্যাসন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাজাহান মোল্লা বাড়ির দরজায় আছিয়া এ. ওয়াহেদ তালিমুল কুরআন মাদরাসার মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। দুপুর ১২টায় খেলা শেষ হয়। পানির তৃষ্ণা লাগলে দক্ষিণ ফ্যাশন নিন্ম-ম্যাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান একটি বোতল নিয়ে প্রতিবেশী আড়ালিয়া বাড়ির মসজিদের নলকূপ (কলে) থেকে পানি আনতে যায়। পানি নিয়ে এসে বন্ধুদের সকলকে পান করায় এক ইকরাম ছাড়া। এ নিয়ে টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ইকরামুলের সঙ্গে মেহেদীর কথাকাটাকাটি হয়। মেহেদী ছোট হয়ে ইকরামকে তুই-তুকারি করলে ইকরাম মেহেদীকে জোরছে এক ঘুষি মারে। ওই ঘুষিতে মেহেদী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। মেহেদীর চাচাতভাই মো. শাহিন, আরিফুল ইসলাম, মমিনসহ সকলে মিলে মেহেদীকে ঘটনাস্থল থেকে মোল্লাবাড়ির চৌরাস্তায় মাথায় নিয়ে যায়। তারা মেহেদীর মা নিপু বেগমকে খবর দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানায়, মেহেদী হাসানেরা দুই ভাই, এক বোন। বাবা আবুল কালাম নান্নু হাওলাদার ঢাকায় চায়ের দোকান করে। বড় ভাই সাগর উপজেলার শশীভুষণ রহিমা ইসলাম কলেজে অনার্স (সম্মান) পড়ছে। সেও ঢাকায় বাবার কাছে গেছে। মা নিপু বেগমই তাঁর ছেলেকে প্রথমে চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হাসপাতালে) নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল রেফার করে। বিকাল ৫ টার দিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন। মেহেদীর বাড়িতে আহজারি আর ইকরামের বাড়িতে গ্রেফতার আতঙ্ক চলছে।
চরফ্যাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আরিফিন বলেন, এ ঘটনায় মেহেদীর চাচা মো. বশির হাওলাদার গতকাল শনিবার চরফ্যাসন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পূর্ব থেকে এ দুই পরিবারের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ মামলা-মোকদ্দমা চলছে। ইকরামের পরিবারের সঙ্গে মেহেদীর পরিবারের শত্রুতা চলছিল। তারই জের ধরে মেহেদীর উপর ইকরাম হামলা করেছে। পুলিশ ইকরামের বাবা আ. আলী মাঝিকে গ্রেফতার করেছে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network