আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০১৯
বেতাগী প্রতিনিধি
বরগুনার বেতাগী উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগমের একের পর এক ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগের শেষ নেই।
প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা আত্মসাৎ, এর পরপরই দায়িত্বে অবহেলায় ২২৮ জন দরিদ্র উপকারভোগী মা মাতৃত্বভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মো. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানা গেছে, অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচির আওতায় ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বেতাগী উপজেলায় ৪২৫ জন উপকারভোগী ভাতা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু তিনি মাত্র ১৯৭ জন ভুক্তভোগীর ডাটাএন্ট্রি করেন। বাকিদের ডাটাএন্টি না হওয়ায় ২২৮ জন উপকারভোগী এ মাতৃত্বভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
তবে গোপন সূত্রে জানা গেছে, তিনি যতজন মহিলার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন একমাত্র তাদের নামই এন্ট্রি করেছেন। এতে সরকারের অগ্রাধিকারমূলক (সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি) বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়েছে।
এ ছাড়া বিগত সময়ে সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে নারীদের বিভিন্ন ট্রেডে ও প্রশিক্ষণার্থীদের নিকট থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সব অনিয়মে গত ২৯ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে অধিদফতর থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলেও কার্যক্রমের কোনো অগ্রগতি হয়নি।
পৌরসভার বাসিন্দা মো. কামাল খান বলেন, এমন ঘুষ নেয়ার জন্যই তাকে এর আগে একবার এখান থেকে বদলি হতে হয়েছিল। কিন্তু পুনরায় একই কর্মস্থলে এল কীভাবে আমি বুঝি না।
এ বিষয়ে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অফিসে আসেন সাক্ষাতে কথা বলব। আমি যা করি বুঝেই করি।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিব আহসান বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে।