ভোলার দৌলতখানে চোরের জন্য পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে স্পৃষ্ট হয়ে আল আমিন (১৩) নামের এক স্কুল পড়–য়া ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আল আমিন সমোশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। সোমবার রাত সাড়ে ৯ টায় উপজেলার দÿিণ জয়নগর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের নসুর বোরাক (ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা) রাখার ঘরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আল আমিন একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পার্শ¦বর্তী বাড়ির আলাউদ্দিনের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, বোরাক চালক নসু পাকা সড়কের পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে অবৈধ লাইন নিয়ে নির্মাণাধীন বোরাকের ঘরে ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়ার জন্য সংযোগ দেন। তারা আরো জানান, বোরাক চোরকে ধরতে ঘরের সামনের ঝাপের সাথে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ দিয়ে ফাঁদ পেতে রাখেন নসু। রাতে কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে আল আমিন এ ফাঁদে আটকে মৃত্যুবরণ করে। আল আমিনের বাবা আলাউদ্দিন জানান, তার ছেলে কোচিং শেষ করে রাত সাড়ে ৯ টায় বাড়ি ফেরার পথে নসুর নির্মাণাধীন বোরাক রাখার ঘরে ঝাপের সাথে পড়ে ছিল। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে খবর দিলে সেখান থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বাসায় নিয়ে যান। পরবর্তীতে রাতে দৌলতখান খায়ের-হাট হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংশিøষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হাওলাদার জানান, স্থানীয় ভাবে জানতে পেরেছি নসু বোরাক চোরকে ধরার জন্য নির্মাণাধীন ঘরের ঝাপের সাথে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রেখেছিলেন। যার ফলে আল আমিনের মৃত্যু ঘটেছে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকাল ৩ টার দিকে দৌলতখান বাংলা বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জেন্নাত আলী মরদেহ উদ্ধার করে দৌলতখান থানায় নিয়ে আসেন। গতকাল বুধবার সকালে ভোলা সদর হাসপাতালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ওইদিনই মরদেহ পরিবারের কাছে হ¯Íান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বজলার রহমান জানান, এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ভোলা পলøী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আবুল বাশার জানান, স্থানীয় ভাবে জানতে পেরেছি নসু অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করছিলেন। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।