উজিরপুর প্রতিনিধি ঃ বরিশালের উজিরপুরে যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্যের কুপ্র¯Íাবে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এক সন্তানের জননী সুন্দরী গৃহবধু। শুধু তাই নয় দুই ভাই মিলে ঐ গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ঐ গৃহবধু বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হারতা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নিখিল চক্রবর্তী (৪০) পার্শ্ববর্তী কুচিয়ারপাড় গ্রামের হীরালাল মলিøকের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস(২৯) দীর্ঘদিন যাবৎ হারতা বন্দরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। তার স্বামী ঢাকাতে ব্যবসা করার কারণে দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ ইউপি সদস্য তাকে কুপ্র¯Íাবসহ বিভিন্ন সময়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এতে ঐ গৃহবধু রাজী না হলে তার ৪ বছরের শিশু সন্তানকে অপহরণসহ খুন করার হুমকি দেয়। ঐ ইউপি সদস্যের কারণে তার বৈবাহিক জীবনে নেমে আসে অশান্তির কালো ছায়া। এ কারণে তার স্বামীর সাথেও ভাল সম্পর্ক নেই বলে তিনি জানান। এমনকি নিখিল চক্রবর্তীর ছোট ভাই বরুন চক্রবর্তী (৩৫) ঐ গৃহবধুর ভাড়া বাসায় গিয়ে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথা বলে তাকে উত্তক্ত করত। তাদের ভয়ে ৩মাস পূর্বে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে বরিশালে আত্মগোপনে থাকে গৃহবধু। গত ৩০ অক্টোবর এর সূত্র ধরে গৃহবধুর বোনের ছেলে কলেজ পড়–য়া বাপন রায়কে প্রকাশ্যে ইউপি সদস্য নিখিল চক্রবর্তী মারধর করে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। আহত বাপন রায় (১৭) বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে তার বোন সুমি রায় উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করে। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, এই ইউপি সদস্য ও তার ভাইদের দাপটে এলাকার সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বিভিন্ন অজুহাতে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে মিতু বিশ্বাস জানান, নিখিল চক্রবর্তী ও তার ভাইয়ের ভয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছি। থানায় এসে অভিযোগ দিতেও সাহস পাচ্ছি না। অব্যাহত হুমকির কারণে বাধ্য হয়ে থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছি। ইউপি সদস্য নিখিল চক্রবর্তী জানান, অভিযোগ সত্য নয়, বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমাকে হেয় করার জন্য অভিযোগ দিয়েছে। উজিরপুর মডেল থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেÿে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।