২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই শিক্ষার মান নেমে যাওয়ায় উদ্বেগ শিক্ষার মান উন্নয়ন না হলে শুধু বদলী নয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে-মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন পাঠ করলো ৭’শ শিক্ষার্থী

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে চাখার শের-ই-বাংলা স্মৃতি জাদুঘর

আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

বানারীপাড়া প্রতিবেদক \ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বানারীপাড়ায় চাখার শের-ই-বাংলা স্মৃতি জাদুঘর । ১৯৮২ সালে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের অধীন প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের তত্ত¡াবধানে চাখারের প্রানকেন্দ্রে ২৭ শতক জমির ওপর শের-ই বাংলা স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ সহ আনুষাঙ্গিক কাজ শুরু করা হয়।আয়তকার ভূমি পরিকল্পনায় ৪৩ মিটার দীর্ঘ ও ১৪.৬০ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট এ জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়। জাদুঘরের এ জমিটি শের-ই বাংলার নিজস্ব বসত ভিটার অংশ। জাদুঘর লাগোয়া দÿিন পশ্চিম পাশে শের-ই বাংলার বিশ্রাামাগার ও ফজলুল হক ইনস্টিটিউশন,পূর্ব পাশে মসজিদ,পারিবারিক কবরস্থান,পিছনে উত্তর প্রান্তে বসতভিটাএবং এর অদূরে ১৯৪০ সালে তাঁর প্রতিষ্ঠিত সরকারী ফজলুল হক কলেজ রয়েছে। ১৯৮৩ সালে প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের তত্ত¡াবধানে এ জাদুঘরটি চালু সহ জনবল নিয়োগ করা হয়।এখানে বর্তমানে ৭জন ষ্টাফ কর্মরত রয়েছেন। জাদুঘরের ভিতরে মোট ৫টি কÿ রয়েছে। পশ্চিম প্রান্তের কÿটি সহকারী কাস্টোডিয়ানের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মাঝের বড় দু’টি কÿে শের-ই বাংলার বিরল আলোকচিত্র,ব্যবহৃত আসবাবাপত্র,চিঠিপত্র ও দ্রব্যাদি সহ একটি কুমিরের খোলস রয়েছে। ছোট একটি কÿ বিশ্রামাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।অবিভক্ত বাংলার মূখ্যমন্ত্রী বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা শের-ই বাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হকের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবন সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে ও ধারণা দিতে এ জাদুঘরটি ভূমিকা রাখছে। দেশ-বিদেশের পর্যটকরা মহান এ নেতার স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শণে আসেন। এখানে বিভিন্ন সময় মন্ত্রী,প্রতিমন্ত্রী,সচিব,জাতীয় সংসদদের চিফ হুইপ হুইপ,এমপি,বরেণ্য রাজনীতিক,বিভিন্ন দেশের কুটনীতিক,সাংবাদিক,গবেষক পরিদর্শনে এসেছেন।কিন্তু বহুতল ভবন নির্মাণ সহ জাদুঘরটিকে আরও সমৃদ্ধ করতে কোন পদÿেপ গ্রহণ করা হয়নি।পরিদর্শনের সময় অনেকেই নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পরে প্রতিশ্রæতির মধ্যেই থেকে যায়।এমনকি শের-ই বাংলার একমাত্র পুত্র প্রয়াত একে ফায়জুল হক বিভিন্ন সময় সরকারের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও পিতার স্মৃতিঘেরা এ জাদুঘরটিকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে কোন পদÿেপ গ্রহন করেননি।জাদুঘরের একতলা ভবনটি ভেঙ্গে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ,শের-ই বাংলার শৈশব,কৈশোর,ছাত্র জীবন,বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবন সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে তার ওপর গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন,পর্যটকদের সঙ্গে আসা শিশুদের জন্য পার্ক নির্মাণ,পর্যটকদের থাকার জন্য আবাসস্থল,শের-ই-বাংলার বিষয়ে আরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও দÿ জনবল বাড়ানো সহ জাদুঘরটিকে আরও সমৃদ্ধ করা হলে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সরকারের রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চাখার ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদার ব্যক্তি বিশেষের দখলে থাকা শের-ই-বাংলার বিশ্রামাগারটিকে শের-ই-বাংলা স্মৃতি জাদুঘরের অধীনে নিয়ে মহান এ নেতার স্মৃতিঘেরা এ প্রতিষ্ঠান দু’টিকে সংস্কার করার দাবী জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহে আলম বলেন অবিভক্ত বাংলার মূখ্যমন্ত্রী বিশ্ববরেণ্য নেতা শের-ই-বাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হকের স্মৃতিকে ধরে রাখতে ও তার আদর্শকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের সঙ্গে আলাপ করে তাঁর স্মৃতি জাদুঘরটিকে আরও উন্নত,সমৃদ্ধ ও আকর্ষনীয় করে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদÿেপ নেওয়া হবে।##

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network