আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০১৯
‘বুলবুল’ মোকাবেলায় ঝড়প্রবণ এলাকার স্বাস্থ্য বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়কালীন উপদ্রুত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সহায়তা দিতে ইতিমধ্যে ১১৬টি উপজেলায় ১ হাজার ৫৭৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ অপারেশন ইমার্জেন্সি সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা জানান, ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকার স্বাস্থ্য বিভাগের সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলায় আটটি নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এগুলো হল-
1 . দুর্গত এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের কাজ করতে বলা হয়েছে।
2 . দুর্গত জেলাগুলোতে ১ হাজার ৫৭৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
3. দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের গঠিত ৪ হাজার ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে মেডিকেল টিম স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে।
4. দুর্গত জেলাগুলোতে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের মজুদ নিশ্চিত করা হয়েছে।
5. কেন্দ্রীয় ওষুধাগার (সিএমএসডি) এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওষুধের মজুদ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুদ রয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় সবকিছু দুর্গত এলাকায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।
6. দুর্গত এলাকায় গর্ভকালীন ও জরুরি প্রসূতি সেবার প্রতি বিশেষ নজর রাখা হয়েছে।
7. স্বাস্থ্য অধিদফতরে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, অপারেশন প্ল্যানের জরুরি প্রস্তুতি কর্মসূচি সার্বিক বিষয়ে সমন্বয় করছে।
8. হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতি ও কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং উপদ্রুত জেলাগুলোর কন্ট্রোল রুমগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়প্রবণ ১৩ জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শনিবার ও রোববারের ছুটি বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলো হল- সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, খুলনা, চাঁদপুর, কক্সবাজার