সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দিকে বাঁক নিচ্ছে অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। ঘণ্টায় ১২০ কিমি গতিবেগে শনিবার দুপুর ২টার দিকে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে ক্রমশই পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে আসছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে ভারতীয় এ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, শনিবার রাত ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে কলকাতার সাগরদ্বীপ থেকে বাংলাদেশের পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার খেপুপাড়ার মধ্যে অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে। রাতেই স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। তবে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলছেন না আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
সাগরদ্বীপ থেকে খেপুপাড়ার মধ্যে ঘূণিঝড় ‘বুলবুলের’ বিস্তার থাকলেও দিল্লির আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাতহানার সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের সুন্দরবন এলাকায়।
ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের ঘূর্ণিঝড় বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার তাদের প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে, এই ধরনের ঘূর্ণিঝড় অনেকটা জায়গা জুড়ে আঘাত হানে। বুলবুলও অনেকটা জায়গা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়বে। এখন পর্যন্ত যা গতি প্রকৃতি বোঝা যাচ্ছে, তাতে সুন্দরবন এবং তার আশপাশেই ‘বুলবুল’ আছড়ে পড়বে বলে মনে হচ্ছে।
কলকাতার আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে ‘বুলবুলের’ দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার। আর বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে বুলবুলের দূরত্ব কমে ৪৮৫ কিলোমিটারে এসেছে। এতে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগও ক্রমশই বাড়ছে।
এদিকে কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া অফিস বলছে, সমুদ্রে ‘বুলবুলের’ গতিবেগ বেশি থাকলেও স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় তার গতিবেগ কমে যাবে। কিন্তু যেভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বুলবুল, তাতে মনে করা হয়েছে স্থলভাগে আছড়ে পড়লেও গতি হবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। আর যদি শেষ মুহূর্তে শক্তি বেড়ে যায়, তাহলে ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার গতিতে