• ২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রেন দুর্ঘটনার আসল রহস্য!

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ণ
ট্রেন দুর্ঘটনার আসল রহস্য!

কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে দুই ট্রেন দুর্ঘটনার আসল রহস্য অবশেষে জানা গেছে।

তূর্ণা নিশীথার চালক (লোকোমাস্টার) তাহের উদ্দিন ও সহকারী অপু-দে অটো ব্রেকে ইট দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার কারণে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কসবায় উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাদের এমন গাফিলতির কারণে রেলওয়ের স্মরণকালের ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন।

রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তূর্ণার দায়িত্বরত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি চালক ও সহকারী অটো ব্রেকে ইট দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন।

তিনি বলেন, ট্রেন অটো ব্রেক সিস্টেমে চলে। ট্রেন তখনই চলে যখন ওই ব্রেক সিস্টেমে পা বা অন্য কিছু দিয়ে চেপে ধরা হয়। ব্রেকে চাপ না দিলে ট্রেন চলে না। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কসবায় পৌঁছার আগেই ব্রেকে ইট দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তূর্ণার চালক ও সহকারী।

তূর্ণা নিশীথা বিরতিহীন ট্রেন। মন্দবাগে দুই ট্রেনের ক্রসিংয়ের সময় সিগন্যাল পেয়ে উদয়ন মেইন লাইন থেকে লুপ লাইনে প্রবেশ করছিল। ট্রেনের নয়টি বগি লুপ লাইনে চলে যাওয়ার পর দশম বগিতে আঘাত করে তূর্ণা নিশীথা। অথচ তূর্ণাকে সিগন্যাল দেয়া হয়েছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে ১০ এবং হাসপাতালে নেয়ার পর ছয়জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন ৭৪ জন। সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের লুপলাইনের মুখে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথার মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মন্দবাগ রেলস্টেশনের মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, আউটার ও হোম সিগন্যালে লালবাতি (সতর্ক সংকেত) দেয়া ছিল।