২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

দুই বাংলাদেশিকে অপহরণ করল ভারতীয় দুর্বৃত্তরা

আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

ভারতে গিয়ে অপহরণের স্বীকার হয়েছেন দুই বাংলাদেশি ব্যবসায়ী।

ইতিমধ্যে অপহরণকারীরা অপহৃতদের বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণও আদায় করেছে।

এছাড়া ওই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে থাকা ৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার এবং ৪৫ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে তাদের মারধর করেছে ভারতীয় অপহরণকারীরা।

এতো কাণ্ড ঘটার পরও অপহরণকারীদের তো দূরের কথা সন্দেহভাজনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি ভারতীয় পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরাতে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে ব্যবসার কাজে বশির মিঞা (৩৯) নামের এক বাংলাদেশি কাপড়ের ব্যবসায়ী কলকাতায় যান।

তার বাড়ি বাংলাদেশের ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায়।

এর আগে ব্যবসা সূত্রে সেলিম নামে এক ভারতীয়র সঙ্গে যোগাযোগ হয় বশিরের।

ভারতীয় কাপড় কিনতে গত ৭ নভেম্বর ইলিয়াস নামে বাংলাদেশি বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সেলিমের সাহায্য নিতে কলকাতায় পাড়ি জমান বশির।

আর এরপরই কলকাতার হাবরায় বন্ধুসহ অপহরণের শিকার হন তিনি। মুক্তিপণ দিয়ে বর্তমানে অপহরণকারীদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে এই দুই ব্যবসায়ী কলকাতার পুলিশের দারস্থ হয়েছেন।

ঘটনার বিবৃতি দিয়ে বশির পুলিশকে জানিয়েছেন, বন্ধু ইলিয়াসসহ ৭ নভেম্বর কলকাতায় সেলিমের সঙ্গে দেখা করি। সেলিম তাদের ব্যবসার প্রয়োজনে হাবরায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে তিনজন খাওয়া-দাওয়াও করেন। সেখান থেকে হাবরার উদ্দেশে সেলিমের সঙ্গে ট্রেনে রওনা হন।

বশির জানান, এদিকে হাবরাতে আগে থেকেই ওৎ পেতে ছিল সেলিমের সাঙ্গপাঙ্গরা।

সেখানে পৌঁছানোর পর একটি গাড়িতে তোলা হয় আমাদের। প্রথমে ভাবছিলাম ওই আত্মীয়ের বাড়ি নিয়ে যাবে। কিন্তু গাড়িতে ওঠার কিছুক্ষণ পরই আমাদের চোখ ও হাত-পা বেঁধে ফেলে গাড়িতে ওঠা সেলিমের সঙ্গীরা।

বশির বলেন, এরপর যখন চোখ খোলা হয় তখন দেখি অজ্ঞাত কোনো স্থানে। আমাদেরকে আটকে রেখে প্রাণে মারার হুমকি দেয় তারা। ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায় তারা। অপহরণকারীদের প্রত্যেকের কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এতো টাকা নেই বললে অপহরণকারীরা আমার মোবাইল থেকে আমার বাবা সিকান্দারকে ফোন করে টাকা চায়।

সূত্র আরো জানিয়েছে, এমন খবরে ভীত ও আতংকিত হয়ে পড়েন বশিরের বাবা। ছেলেকে বাঁচাতে বাংলাদেশ থেকে টাকার ব্যবস্থা করেন এবং অপহরণকারীদের কাছে ৬ লাখ টাকা পৌঁছে দেন।

আর সেই টাকা পাওয়ার পর অপহরণকারীরা দালালদের হাতে দু’জনকে তুলে দিয়ে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিতে বলে।

কিন্তু কলকাতায় আসার পর বিএসএফকে সব বলে দেবে বলে ভয় দেখালে দালালরা পালিয়ে যায়।

কলকাতার পুলিশ জানায়, বশির ও ইলিয়াস ট্রেনে চড়ে কলকাতায় ফিরে আসেন। ১০ নভেম্বর তারা এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

প্রাথমিক তদন্তের পর সোমবার (১১ নভেম্বর) অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়।

এখন পর্যন্ত কেন অপহরণকারীদের কাউকে গ্রেফতার করা গেল না সে বিষয়ে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার পেছনে একটি বড় চক্র রয়েছে। সেই চক্রে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরাও যুক্ত রয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পেয়েছি। সেই অনুযায়ী অপরাধীদের ধরার করার চেষ্টা চলছে।

সূত্র: আনন্দবাজার

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network