পেঁয়াজের দামে যখন লাগাম টানা যাচ্ছে না তখন মজুতকৃত ১৫ টন পচা পেঁয়াজ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে হয়েছে।
শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের ফিরিঙ্গি বাজার ব্রিজঘাট এলাকায় পচে যাওয়া পেঁয়াজ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দিয়েছে আড়তদাররা।
সেই পেঁয়াজগুলো সংগ্রহ করতে দেখা গেছে শিশুসহ বড়দের।
এ বিষয়ে আড়তদাররা বলছেন, এসব মিয়ানমার থেকে আনা পেঁয়াজ। পরিবহনের সময় এগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
পেঁয়াজ ফেলে দেয়ার বিষয়ে হামিদুল্লাহ মার্কেট কাঁচামাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিচ জানান, এসব খারাপ পেঁয়াজ মিয়ানমার থেকে আসছে। সেখান থেকে আনার সময় যেগুলো বোটের (নৌকা) নিচে পড়ে সেগুলো পচে যায়। এ রকম দুই থেকে তিন ট্রাক হবে। যেগুলো বিক্রি হয়নি। সেগুলো ফেলে দেয়া হয় রাতে।
গত সেপ্টেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর সরকার মিয়ানমার থেকে আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। তবে মিয়ানমারের পেঁয়াজের মান নিয়ে তখনও প্রশ্ন তুলেছিলেন ব্যবসায়ীরা।
ভারত থেকে আমদানি বন্ধ ও দেশে ‘সংকট’র অজুহাত দেখিয়ে গত দেড় মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ানো হয়েছে এর দাম।
বিশেষ করে গত দুদিনে দাম বেড়েছে হুহু করে। অস্থির হয়ে উঠেছে রাজধানীসহ সারা দেশের পেঁয়াজের বাজার।
রীতিমতো অধিকাংশ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে নিত্যদিনের এ পণ্যটি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর খুচরা বাজারে যে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২০০-২২০ টাকা বিক্রি হয়েছে, শুক্রবার সেটি ছিল ২৪০-২৫০ টাকা। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৩০-৪০