আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০১৯
আমতলী প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামের মোস্তফা আকনের মেয়ে হাওয়া আক্তার প্রেমের বলি হয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে রবিবার সকালে উত্তর টিয়াখালী গ্রামে।
জানাগেছে, উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামের মোস্তফা আকনের মেয়ে হাওয়া আক্তার বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর গ্রামের খলিলুর রহমান তালুকদারের ছেলে রোমেন তালুকদারের সাথে গত দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত বছর তারা নিজেরা দু’পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করেন। মেয়ে হাওয়ার পরিবার বিয়ে মেনে নিলেও ছেলে রোমেনের পরিবার মেনে নেয়নি। গত শুক্রবার রোমেন শ্বশুড় বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। শনিবার রাতে রোমেনের পরিবার বিয়ে মেনে না নেয়ার বিষয় নিয়ে তার সাথে স্ত্রী হাওয়া আক্তারের কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় স্ত্রী হাওয়া আক্তার। রবিবার সকালে হাওয়া কীটনাশক খেয়ে ফেলে। স্বজনরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তার অবস্থা সংঙ্কটজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। ওই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। খবর শুনে স্বামী রোমেন তালুকদার পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। পরে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন রোমেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় হাওয়া আক্তারের ভাই মামুন আকন বাদী হয়ে আমতলী থানায় রোমেন তালুকদারকে প্রধান আসামী করে তিনজনের নামে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
হাওয়া আক্তারের ভাই মামুন আকন বলেন, রোমেন আমার বোনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে হত্যা করেছে। আমার বোনকে রোমেন বিয়ে করে গত এক বছর ধরে ফেলে রাখে। রোমেনের পরিবার আমার বোনকে মেনে নেয়নি। আমার বোনকে মেনে নিলে এ ঘটনা ঘটতো না। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গা হাজরা বলেন, হাওয়া আক্তার বিষক্রিয়ায় আক্তান্ত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছিল। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছি।
আমতলী থানার এসআই মহিউদ্দিন শেখ বলেন, নিহত হাওয়ার স্বামী রোমেন তালুকদারকে তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন ধরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামী স্বামী রোমেন তালুকদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।