• ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অক্সফোর্ড মিশন হাই স্কুলের এ্যাকাউন্ট থেকে বেআইনীভাবে ৭৪ লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ

report71
প্রকাশিত নভেম্বর ১৮, ২০১৯, ১৭:৩২ অপরাহ্ণ
অক্সফোর্ড মিশন হাই স্কুলের এ্যাকাউন্ট থেকে বেআইনীভাবে ৭৪ লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক \ ঐতিহ্যবাহি অক্সফোর্ড মিশন হাই স্কুলের এ্যাকাউন্ট থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মিশনের ফাদার ফ্রান্সিস এসপিবি এর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সোমবার অক্সফোর্ড মিশন হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডেপুটি মডারেটর বিশপ সৌরভ ফলিয়ার কাছে অভিযোগপত্র দিয়েছে বিদ্যালয়ের শিÿক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। লিখিত অভিযোগে উলেøখ করা হয়, ফাদার ফ্রান্সিস এসপিবি বিভিন্ন মেয়াদে মোট ৭৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৭৬ টাকা উত্তোলন করেছেন। তিনি ম্যানেজিং কমিটির কোন পদে নেই। তবে নিজেকে ম্যানেজিং কমিটির উপদেষ্টা হিসিবে জাহির করেন। ফাদার ফ্রান্সিস অর্থ উত্তোলন, বিদ্যালয় পরিচালনায় ও সকল ÿেত্রে একক সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। এমনকি এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতিকেও অবহিত করেন না। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালনার জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে বাদ দিয়ে প্রধান শিÿক, ফাদার ফ্রান্সিস ও ফাদার জন এসপিবিকে ফাদার ফ্রান্সিস মনোনীত করেছেন। যা ম্যানেজিং কমিটির আইনানুযায়ী সম্পুর্নরূপে বেআইনী। সর্বশেষ বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর ১০ লাখ টাকা ও ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রæয়ারী ১৫ লাখ টাকা সেন্টার অফিস ট্রান্সফার নামে উত্তোলন করা হয়েছে। এছাড়া শিÿকদের গ্রাচ্যুইটি বন্ধ করে দিয়েছেন ফাদার ফ্রান্সিস। যদিও এই ফান্ডে ৬ লাখ টাকার বেশী রয়েছে বলে শিÿকরা জানান।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর এই অভিযোগপত্রে স্বাÿর করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিÿক পলিনুস গুডা, সমীর কুমার রায়, অধীর রঞ্চন মিস্ত্রী, দিপালী বাইন, সঞ্জয় চন্দ্র হাওলাদার, বিপুল হালদার, মো: আশরাফুজ্জামান, শ্যামা প্রসাদ বৈরাগী, যোয়াকীম গোলদার, স্টেলা সাথী মলিøকসহ ১৭ জন শিÿক-কর্মচারী। এই অভিযোগ পত্রের অনুলিপি চার্চ অব বাংলাদেশের মডারেটর রাইট রেভা: শমুয়েল সুনীল মানখিন বরাবর দেয়া হয়। অক্সফোর্ড মিশনের ফাদার ফ্রান্সিস এসপিবি এর ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ফাদার জন এসপিবি বলেন, ‘যে সব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে, তা কমিটি থেকে পাশ করা। এখানে অনৈতিক কিছু করা হয়নি।’ ম্যানেজিং কমিটিতে পদ না থাকার পরও কিভাবে স্কুলের উপর হ¯Íÿেপ করছেন এ বিষয়ে ফাদার জন বলেন, ‘এই স্কুল ইংল্যান্ডের নিয়মে চলে। ট্রেডিশন হিসেবেই চলে আসছে। এটি অলিখিত নিয়ম।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিদেশ থেকে স্কুলের ফান্ড বন্ধ হওয়ার কারণে আমরা স্থানীয়ভাবে ফান্ড তৈরি করছি।