নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের ঐতিহ্যবাহি অক্সফোর্ড মিশন হাই স্কুল ও প্রাইমারী স্কুলের কোটি টাকা দুর্নীতি তদন্তে মাঠে নেমেছে তদন্ত টিম। এসময় তারা স্কুলের আয়-ব্যায়সহ সকল নথিপত্র তলব করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এই তদন্ত কমিটি স্কুলে আসে।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে, প্রভাব খাটিয়ে মিশনের দুইটি স্কুলের প্রায় কোটি টাকা স্কুল ফান্ড থেকে ফাদার ফ্রান্সিস পান্ডে ও ফাদার জন হালদার উত্তোলন করে নেয়। এ ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা ফাদার ফ্রান্সিস ও জন এর বিরুদ্ধে ডেপুটি মডারেটর বিশপ সৌরভ ফলিয়া কাছে গত ১৮ নভেম্বর সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। এ ঘটনায় রিপোর্ট একাত্তরে রিপোর্ট প্রকাশের পর জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এই তদন্ত টিম প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত টিম স্কুলের আয়-ব্যায়, শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা, শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যান, বার্ষিক আয়-ব্যায়, স্কুল ফান্ডের বর্তমান অবস্থাসহ বিভিন্ন হিসাব তলব করেছে তদন্ত টিম। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পলিনুস গুডার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, স্কুলে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আসছিল। তিনি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর পরিসংখ্যান, স্কুলের আয়-ব্যয় এর হিসাব চেয়েছেন।
এব্যাপারে বরিশাল সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাসরিন জোবায়দা বলেন, ‘একাডেমিক সুপারভাইজার সুচীত্রা বিশ্বাসকে অক্সফোর্ড মিশন হাই স্কুলে পাঠানো হয়েছিল। জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে স্কুলের সকল হিসাব নিকাশ চাওয়া হয়েছে। সেগুলো বিশ্লেষন করে তদন্ত রিপোর্ট দিবে একাডেমিক সুপারভাইজার। আর সেই তদন্তের উপর নির্ভর করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ ##