ঝিকরগাছায় বাড়িতে ছাগল যাওয়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিত ওই নারীর নাম রেহেনা পারভীন (৩৪)। বুধবার রাতে এ ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। থানায় অভিযোগের পরই বিষয়টি জানাজানি হয়। নির্যাতনের শিকার রেহেনা পারভীন উপজেলার বায়সা গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগে জানা যায়, ১২ নভেম্বর সকালে রেহেনা পারভীনের একটি ছাগল প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের বাড়িতে যায়। এ নিয়ে রফিকুলের স্ত্রী কমলা খাতুনের সঙ্গে রেহেনা ও তার বোন নূরজাহানের বিবাদ মারপিটে রূপ নেয়।
একপর্যায়ে প্রতিবেশী তাইজেল ইসলাম, তার স্ত্রী শাহিনুর খাতুন, ছেলে জিয়াউর রহমান ও ছেলের স্ত্রী ফাইমা খাতুন, নূর বনী ওরফে নুরুন্নবীর স্ত্রী সুফিয়া খাতুন ও তার ছেলে শরিফুল ইসলাম, মফিজুর রহমানের স্ত্রী আমেনা খাতুন, শরিফুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা খাতুন, মফিজুর রহমানের ছেলে রেজাউল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন স্বামী পরিত্যক্ত রেহেনা পারভীনকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মরপিট করে।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে রেহেনা পারভীনকে উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
এ ছাড়া বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসারও চেষ্টা করেন। তবে বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ হওয়ায় মীমাংসা সম্ভব হয়নি।
রেহেনা পারভীনের ছোট ভাই এমএম নবী অভিযোগ করেন, তারই আপন বড় ভাই গোলাম মোস্তফার সঙ্গে জমাজমি ও টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তারই ইন্ধনে প্রতিবেশীরা তার বোনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছে। এ ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা থানার ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, বুধবার রাতে তিনি অভিযোগ হাতে পেয়েছেন। নির্যাতনকারীর মধ্যে রেহেনার বড় ভাই ও ভাবিও রয়েছেন।