২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই শিক্ষার মান নেমে যাওয়ায় উদ্বেগ শিক্ষার মান উন্নয়ন না হলে শুধু বদলী নয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে-মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন পাঠ করলো ৭’শ শিক্ষার্থী

শীতে বাড়ে বায়ু দূষণ

আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

শীতে বাড়ে বায়ু দূষণ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শ্বাসনালী ও ফুসফুস। চারিদিকে চলছে নির্মাণযজ্ঞ, যাতে দূষণ বাড়ছে আরও। যা প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাস বিপজ্জনক করে তোলে। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় বাতাস বেশি থাকে বলে ধূলিকণা কম থাকে। তবে শীতকালে তা বেড়ে যায়। তাই এ সময়ে ধুলা-বালি থেকে বাঁচতে সতর্ক হতে হবে-

ধুলা-বালির কারণ
১. শীতে বাতাসের গুণগত মান খুবই খারাপ হয়ে যায়। অক্সিজেনের ঘনত্ব কমে। ফলে ফুসফুসের সমস্যা যাদের, তাদের এ সময়ে অসুখের প্রকোপও বাড়ে। অন্যদেরও সমস্যা কম হয় না। কারণ বাতাসে দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়।

২. শ্বাসগ্রহণের সময় শরীরে প্রচুর ধুলা-বালি ঢোকে। তবে শ্বাসনালির নিজস্ব ব্যবস্থা আছে। তাতে ময়লা ঢুকলে পরিষ্কার করতে পারে। কিন্তু তা বেশি হয়ে গেলে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। কিন্তু সালফার-ডাই-অক্সাইড বা কার্বন-মনো-অক্সাইডের মতো গ্যাস শ্বাসনালীকে উত্তেজিত করে। এগুলো বেশি ঢুকলে মিউকাসের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন শরীরে সংক্রমণ হয়।

pollution-cover

৩. ধুলা-বালি শ্বাসতন্ত্রের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে হাঁপানির উদ্রেক করে। শহরে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা বেশি। শিল্পায়ন, নগরায়ণের ফলে ঝুঁকি বাড়ছে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজেরও। এটি দীর্ঘমেয়াদী ফুসফুসের রোগ।

৪. ধূমপায়ীদের শরীরে কার্বন-মনো-অক্সাইড বেশি। তাই এটি ফুসফুসের স্বাভাবিক কলাকে ধীরে ধীরে নষ্ট করে। এছাড়া কারখানার রাসায়নিকও ক্ষতির কারণ হতে পারে। একে বলে ফাইব্রোসিস বা আইএলডি।

বাঁচার উপায়
১. দূষণ ফুসফুসের সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। তাই শীতে বাড়তি সাবধানতা দরকার। যেদিন রাস্তাঘাটে ধোঁয়া-ধুলার পরিমাণ বেশি মনে হবে, সেদিন যত সম্ভব ‘ইন্ডোর অ্যাক্টিভিটি’ করতে হবে। যারা মোটরসাইকেল চালান, তাদের উচিত কাচ দিয়ে মুখ ঢাকার ব্যবস্থা থাকা হেলমেট ব্যবহার।

২. উচ্চতা কম হওয়ায় বাচ্চারা বেশি ভোগে। মাটির কাছাকাছি ধুলার পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে ধুলা শ্বাসনালীতে বেশি ঢোকে। তাই শীতে বাচ্চাদের নিয়ে বাড়তি সাবধানতা প্রয়োজন।

pollution-cover

৩. পানি গরম করে তার বাষ্প নাক-মুখ দিয়ে নেওয়া। বাজারে এখন খুব ভালো ইনহিলেশন সরঞ্জাম পাওয়া যায়। একটি বড় মুখওয়ালা পাত্রে পানি ফুটিয়ে গ্যাস নিভিয়ে তোয়ালে দিয়ে মুখ ঢেকে শ্বাস নেওয়া যেতে পারে। নাক দিয়ে পানি টানা যেতে পারে। এতে ভালো উপকার হয়।

৪. শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঠেকাতে নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক ব্যবহার করা হয়। এগুলো যে শতভাগ রোগ প্রতিরোধ করতে পারে তা নয়। তবে সংক্রমণের উপদ্রব অনেকটাই কমাতে পারে।

৫. ভালো মানের মাস্ক পরা যেতে পারে। ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে মাস্ক কিনতে হবে। মনে রাখত হবে, মাস্ক ব্যবহার করলেও মাইক্রো প্লাস্টিকের মতো ক্ষুদ্র কণা ঢোকে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network