আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০১৯
একুশে গানের সুরকার শহীদ আলতাফ মাহামুদের নামে বরিশালে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি সঙ্গীত বিদ্যালয়। পরবর্তীতে সরকার ওই স্কুলের নামে জমিও বরাদ্দ দেয়। কিন্তু এত বছর পরে এসে সেই জমি দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে একটি চক্র। এমনটাই অভিযোগ পাওয়া গেছে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে।
জানা গেছে, ১৯৭২ সালে বরিশাল নগরীর হাসপাতাল রোডে তৎকালীন প্রশাসন ১০ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেয় এবং সেখানে ১৯৮৫ সাল থেকে সঙ্গীত বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। সম্প্রতি ওই জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ ওঠে বরিশালের এক প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের বরিশালের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, প্রশাসন এই জমিটি সঙ্গীত বিদ্যালয়টিকে দেয়। কিন্তু এই জমি এখন বরিশালের শিল্পপতি বিজয় কৃষ্ণ দে’র স্ত্রী শৈল দে’র নামে দলিল করিয়েছেন এবং সেই দলিলে উল্লেখ রয়েছে যে জমিটি তাদের দখলেই আছে। কিন্তু আসলে তাদের দখলে নেই।
বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, যে বিষয়টি বলা হচ্ছে সেটা ট্রাইব্যুনালে বিচারধীন রয়েছে। বিচারাধীন বিষয়ে খুব একটা মন্তব্য করার সুযোগ আমার কম। তারপরও বলবো অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন অনুযায়ী যে আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল গঠিত সেই ট্রাইব্যুনালে একজন ব্যক্তি ৩০০/১২ নম্বরে একটি মামলা করেছেন। মামলাটি চলমান রয়েছে। আমরা আলতাফ মাহামুদ সঙ্গীত বিদ্যালয় নামে আমাদের ভিপি সম্পত্তি লিজ দিয়েছিলাম। এখনো এই সঙ্গীত বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আদালতে আমরা যথাযথ জবাব দাখিল করেছি।
আমরা দাবী করেছি এটা ভিপি সম্পত্তি, চলমান জরিপেও এটা আমাদের নামে রেকর্ড হয়েছিলো। এটা ভিপি সম্পত্তি থাকবে এবং ভিপি সম্পত্তি বহাল থাকলে এখানে সঙ্গীত বিদ্যালয়টি তাদের কার্যক্রম চলমান রাখতে পারবে। আমরা চাইবো বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
এ দিকে এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বরিশালের ২৭টি সংগঠনের জোট বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ পরিষদের নেতৃবৃন্দ।