ছুটি শেষে চাকরিতে যোগ না দেয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচজন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মবহির্ভূত কাজে জড়িত থাকায় দুই কর্মচারীকেও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী বৈঠক সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চাকরিচ্যুতের বিষয়টি একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এই সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
একই সঙ্গে দুজন কর্মচারীকেও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এদের একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং আরেকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন বলে জানা গেছে।
চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সানোয়ার উদ্দীন আহমেদ, ফিনান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজিবুল কবির, অ্যাকাউন্টটিং ইনফরমেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোসাম্মৎ আসমা জাহান, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. সোহেল শামসুজ্জামান, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের প্রভাষক আয়েশা জামান।
চাকরিচ্যুত দুই কর্মচারী কর্মচারী হলেন- প্রকৌশলী দফতরে পিয়ন কাম গার্ড অজিত চন্দ্র ভৌমিক যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে এবং পরিবহন দফতরের উচ্চমান সহকারী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, যিনি অফিসে অনিয়মিত থাকতেন।
চাকরিচ্যুতের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক হুমায়ন কবির বলেন, পাঁচজন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুইজন কর্মচারীকেও।
চাকরিচ্যুতের কারণ জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, যেসব শিক্ষক বিদেশে গিয়ে আর ফিরে আসেনি তাদেরকে আমরা বারবার ফিরে আসতে বলেছি। কিন্তু তারা ফিরে আসেনি। তাদের পাঁচজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এছাড়া দুই কর্মচারীকেও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কেউ যদি বিশ্ববিদ্যলয়ের নিয়ম না মানে তাদের তো বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা উচিত নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ভেঙ্গে কোনো কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণা চৌর্যবৃত্তি করে পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়া অভিযোগ আছে। তাদের বিরুদ্ধে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ছিলও বলে জানিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন সিন্ডিকেট সদস্য।
এ বিষয়ে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। আগামী বৈঠকে এটি নিয়ে আলোচনা হবে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৯ তারিখ সিন্ডিকেট সভায় ছুটি শেষে স্ব স্ব চাকরিতে যোগদান না করার কারণে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাফিস জামান শুভ ও ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আহসানুল আকবরকে চাকরিচ্যুত