আপডেট: ডিসেম্বর ৪, ২০১৯
ববি প্রতিনিধি:: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার এ কে এম মাহবুব হাসানের শেষ কর্মদিবসে সাংবাদিকদের একটি সমিতি গঠনের গুজব নিয়ে বিরাজ করছে অস্বস্তি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বারবার সংগঠনটির নেতাদের ডেকে স্পষ্ট অবস্থান ব্যাক্ত করার পরও থেমে নেই তাদের বিতর্কিত কর্মকান্ড। নামসর্বস্ব সংগঠনটিকে আলোচনায় রাখতে বিভিন্ন অভিনন্দন পত্র আর বিতর্কিত প্রেস রিলিজ প্রচার করছে তারা। সংগঠনটির এক নেতার বিরুদ্ধে আছে অনৈতিকতার বিস্তর অভিযোগ। তবে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার গুজব উঠলে তৎকালীন ভিসির রুটিন দায়িত্বে থাকা ট্রেজারার বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছিলেন, সাংবাদিকদের কোনো সংগঠনের কার্যক্রমকে আমি অনুমোদন দেই নি। তারপরও কেন বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে জানি না।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কোটা বিরোধী আন্দোলন ও সাবেক ভিসি বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম। সেই সূত্রে সাবেক ট্রেজারারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে তার। মেয়াদপূর্তির শেষ দিকে ট্রেজারারের বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র প্রকাশ পেতে থাকে সংবাদমাধ্যমের পাতায়। সমালোচনা থেকে ট্রেজারারকে মুক্ত রাখতেই চক্রবদ্ধভাবে কয়েকজনকে নিয়ে শফিকুল ইসলাম একটি সাংবাদিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার গুজব সৃষ্টি করে। সেই চক্রের কয়েকজন ক্যাম্পাস রিপোর্টার সেজে সাবেক ট্রেজারারের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বক্তব্য দেওয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশ করেও জলঘোলা করতে সক্ষম হয়েছিলো।
ওই চক্রের রোষানলে পড়া একজন কর্মকর্তা হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির নির্বাহী প্রকৌশলী মুর্শিদ আবেদীন। তিনি জানান, সাবেক ট্রেজারারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমগুলোতে একের পর এক সংবাদ প্রকাশ পেয়েছিল। একটি পত্রিকাতে আমার মতামত দেখে ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন তিনি। তার মেয়াদপূর্তির প্রক্কালে আমার বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ সাজিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করে শফিকুল ইসলাম। সেই সংবাদে আমার কোনো বক্তব্যও প্রকাশ করে নি সে। পরবর্তীতে আমি উক্ত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে পত্রিকা অফিসে লিখিত দিয়েছি। তাদের যোগসাজশে আমার যে সামাজিক ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়।
সাংবাদিকদের উক্ত সংগঠনটির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাসের কাছে। তিনি বলেন, তাদের ব্যাপারে আগেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ‘ নাম ব্যাবহার করে কোনো ছাত্র সংগঠন করতে হলে যে নিয়মের মধ্যে আসতে হয় তারা সেগুলো মানে নি। তিনি আরো উল্লেখ করেন, সামনের ভর্তি পরীক্ষার পর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সকল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলোকে নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে আনবো। বিভিন্ন শর্তপূরণের মাধ্যমে সেসব সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে৷ তখন নামসর্বস্ব সংগঠনগুলো এমনিতেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।