২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

কেমন যাবে ২০২০

আপডেট: জানুয়ারি ১, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

অনেকেই আছেন যারা ভাগ্যচক্রে বিশ্বাস করেন, আবার অনেকে করেন না। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এরপরও বিশ্বজুড়ে রাশিচর্চা বা ভাগ্যচক্র নিয়ে আলোচনা-গবেষণা হয়। জেনে রাখা ভালো, রাশি কখনই ভাগ্য নিয়ন্তা নয়। মানুষের কর্মই তার ভাগ্য নির্ধারণ করে। জ্যোতিষশাস্ত্র কেবল কিছু সূত্র ধরে সম্ভাবনার পথ বাতলে দেয়।

বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মডেল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্তির দিকে অগ্রসর হবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মনে আস্থা ফিরে আসায় দেশের মৃতপ্রায় শিল্পকারখানা চাঙ্গা এমনকি নিত্যনতুন কারখানা চালু হওয়ায় দেশে বহু কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে…

২০২০ সালের সার্বিক গ্রহাবস্থান বিচারে জ্যোতিষিক দৃষ্টিকোণ থেকে মাতৃভূমি বাংলাদেশের অবস্থা অতিশয় শুভ। বছরটি সম্ভাবনাময়, স্মরণীয়, বরণীয়, নিত্যনতুন চমক সৃষ্টির বছর। এ বছর উন্নতি, অগ্রযাত্রার গ্রাফ ক্রমোন্নতির দিকে ধাবিত হবে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মডেল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্তির দিকে অগ্রসর হবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মনে আস্থা ফিরে আসায় দেশের মৃতপ্রায় শিল্পকারখানা চাঙ্গা হয়ে উঠবে। নিত্যনতুন কারখানা চালু হওয়ায় দেশে বহু কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এ বছর শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষিক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। দেশের দীর্ঘদিনের মন্দা শেয়ারবাজারে স্বস্তি, জনশক্তিসহ রপ্তানি-বাণিজ্যে সুখবর মিলবে।
রিজার্ভমানি বৃদ্ধি স্মরণকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। তবে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা আছে। ঘটতে পারে কিছু দুর্ঘটনা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্যও কিছুটা বাড়তে পারে। তবে তাতে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনসাধারণের মনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে। এ বছর পাট, চিংড়ি, কাঁকড়া, কুঁচে, তৈরি পোশাক, চামড়া, মৃৎশিল্প চাঙ্গা ও রপ্তানি-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ এ বছর চীন, জাপান, ভারত, ভিয়েতনামের পথ অনুসরণ করে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, যানবাহন, খেলনা, মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ, ইলেকট্রিক তার, সিমেন্ট, স্টিল ও পোশাকাদি উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য লাভ শুধু নয়, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করবে।
বেকার যুবক-যুবতীরা কর্মের সংস্থান পাবেন। চীন, জাপান, আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, মালয়েশিয়া, ভারতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ বাংলাদেশের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ধরার সম্ভাবনা রয়েছে। গ্যাস, লৌহ, কয়লা উত্তোলন, সামুদ্রিক বন্দর প্রতিস্থাপন, মেট্রোরেলসহ রেলের সম্প্রসারণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিমানবন্দর নির্মাণ, বিমান, যুদ্ধবিমান, ট্যাংক, জাহাজ, যুদ্ধজাহাজ, সমরাস্ত্র-গোলাবারুদ ক্রয়, পদ্মা সেতু, দ্বিতীয় পদ্মা সেতুসহ দক্ষিণ-পূর্ববঙ্গে আরও দু-একটি সেতু নির্মাণের চেষ্টা বাস্তবায়নের দিকে ধাবিত হওয়ায় বাংলাদেশ গোটা বিশ্বকে এ বছর তাক লাগিয়ে দেবে।
কৃষিজাত দ্রব্য বিশেষ করে ধান, গম, ভুট্টা, পাট, সরিষা, পিয়াজ, রসুন, ডাল, আলু, আদা, আখ, জিরা, আম, লিচু প্রভৃতির ফলন হবে চোখে পড়ার মতো, যা দেশের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সেই সঙ্গে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, পোলট্রি শিল্প ও মৎস্য চাষে সরকারি-বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের মৎস্য- মাংসের চাহিদা পূরণ করা সহজ হবে।
এ বছর রাষ্ট্রের সম্পত্তিকারক মঙ্গল ও বৃহস্পতির শুভ প্রভাবে একদিকে যেমন রাষ্ট্রের বহুল উন্নয়ন, প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে তেমনি সমুদ্রোপকূলে দু-একটি নতুন দ্বীপের সন্ধান ও নদী-সমুদ্রের চরাঞ্চল বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের আবাসস্থল বৃদ্ধি পাবে। দেশে মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকায় ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন, আফিম আমদানি, সেবন ও প্রকাশ্যে ধূমপানে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হওয়ায় মাদকদ্রব্য আমদানি, সেবন, ধূমপায়ীর সংখ্যা কমতে পারে। বৃহৎ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে দেশে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চাপ অব্যাহত থাকতে পারে। বিরোধী দলগুলোর জন্য ২০২০ সালে সফলতা অর্জন করা কঠিন হবে।

আন্তর্জাতিক

নিত্যনতুন ইন্টারনেট পরিষেবা ও তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্ব এ বছর বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে

ইংরেজি নববর্ষ শুরু হলো বুধবার, যার সংখ্যা হলো ৫ আর ২০২০-এর সংখ্যা হলো ৪। এই (৫+৪)=৯। এই ৯ হলো সেনাপতি মঙ্গলের প্রতীক। যা বল, তেজ, সৌর্য, বীর্য ও স্ফুলিঙ্গের কারক। অপরদিকে বুধ হলো বুদ্ধি, জ্ঞান ও গবেষণার কারক। তাই তো এ বছর বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে বল, বীর্য, তেজ ও অগ্নিস্ফুলিঙ্গের আগুন জ্বলে উঠলেও বুদ্ধি-জ্ঞান, গবেষণার প্রতিফলন ঘটিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে তা সহজে থামিয়ে দিতে সক্ষম হবে।
যার ফলে একাধিক দেশে বিভাজনের আন্দোলন জোরদার হলেও আন্দোলনকারীরা সফল হবে না। নতুন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই; বরং কূটনৈতিকভাবে সমাধানের পথ বের হবে। আইএসসহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী দমনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এক কাতারে মিলিত হওয়ায় এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বিশ্বে জঙ্গিগোষ্ঠীর নাশকতামূলক কর্মকা- বিগত বেশ কয়েক বছরের তুলনায় কম হবে।
তবে এ বছর বেশ কয়েকটি দেশের ভৌগোলিক অবস্থার প্রসার, ক্ষমতা, প্রভাব বিস্তার ও বাস্তবায়নের জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ, রাজনৈতিক সংঘর্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা, গুটিকয়েক বিশ্ব মোড়ল ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দের অদূরদর্শিতা, হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণে অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদসহ অগণিত অর্থের অপচয় হতে পারে। তবে প্রকৃত যুদ্ধ বাধার কোনোরূপ আশঙ্কা নেই। রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রনৈতিক পটপরিবর্তন, কতিপয় রাষ্ট্র নেতার পতন, পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা, কোনো কোনো স্থানে উগ্রপন্থিদের তা-বলীলা দেখা যেতে পারে।
এ বছর বেশ কয়েকটি দেশে সীমান্ত সংক্রান্ত বিরোধ, সংঘর্ষ, যুদ্ধ-বিগ্রহের সঙ্গে আর্থিক, খাদ্য সাহায্য বন্ধ ও কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগে একঘরে করে রাখার প্রবণতা বাড়বে এবং কার্যকরও হবে। বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়তে পারে। বৈজ্ঞানিক গবেষণা, মহাকাশ গবেষণা, প্রাণদায়ী ওষুধ আবিষ্কার, কৃত্রিম সূর্য, চন্দ্র, উপগ্রহ নির্মাণ স্থাপন, স্যাটেলাইট, নিত্যনতুন ইন্টারনেট পরিষেবা ও তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্ব এ বছর বেশ কয়েকধাপ এগিয়ে যাবে।
বিশ্ব মোড়ল বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র যেমন- ভারত আর্থিক সামরিক শক্তি বাড়াবে। রাশিয়া তার সৈন্যসামন্ত অস্ত্রশস্ত্রের বিস্তার ঘটিয়ে যাবে। চীন তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলছে, উত্তর কোরিয়া, ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু সংক্রান্ত কার্যকলাপ বন্ধ করছে। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া কারও সাতেও না পাঁচেও না। নিজস্ব গতিতে দ-ায়মান ছিল, আছে এবং থাকবে।
এ বছর আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় সিংহভাগ দেশ রাশিয়া, চীন, ভারত, জাপান, ভিয়েতনাম, ইরান, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের অর্থনৈতিক ভিত চাঙ্গা হয়ে উঠবে। ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক, মিসর, পাকিস্তান, মিয়ানমার, লেবানন, ওমান, রোমানিয়া, মেক্সিকো, কলম্বো, সোমালিয়া প্রভৃতি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মন্দাভাব বাড়বে বৈ কমবে না। জার্মানি, ইতালি, নরওয়ে, ডেনমার্ক, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, স্পেন, রোম, পোল্যান্ড, পর্তুগাল প্রভৃতি রাষ্ট্রের উন্নতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার সিংহভাগ দেশ যেমন আছে তেমনি থেকে যাবে। আমেরিকা, জাপান, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইসরায়েল, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে অটল থাকতে পারে। চীন, ভিয়েতনাম, ভারত, থাইল্যান্ড, জাপান ও বাংলাদেশ তাদের রপ্তানি-বাণিজ্য বহুগুণ বৃদ্ধি ও রিজার্ভমানি বৃদ্ধি করে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। চীন, জাপান, কাতার, তুর্কি, ডেনমার্ক, সৌদি আরব, উত্তর কোরিয়া, ভেনিজুয়েলা, জিম্বাবুয়ে, ঘানা, ক্যামেরন, জর্জিয়া, বসনিয়া, কিউবা প্রভৃতি রাষ্ট্রের জনপ্রবৃদ্ধির গ্রাফ নিম্নগামী হবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network